প্রথম বর্ষ/প্রথম সংখ্যা/১লা
বৈশাখ, ১৪৩০
বিশুদ্ধ বাতাস
অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইতে অলস মানুষও মরিয়া হয়ে ওঠে। মহামানব বা অবতারের কথা স্বতন্ত্র, কদাচিৎ তাদের দেখা মেলে। এবং সেই মহামানব তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস অন্যদের কাঁধে অনায়াসে চাপিয়ে দেন। বিকল্প-হীন ভাবে অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করেই অন্যেরা তা মেনে নেন। সময় বদলেছে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকতর প্রযুক্তি মানুষের হাতের মুঠোয়, সচেতন মানুষ চাইলেই যে কোন বিষয়, ভাবনা সহজেই যাচাই করতে পারেন।
ভারতবর্ষ চিরকালই ‘মহামানবের সাগরতীর’। কিন্তু দু’শো বছরের দাসত্ব সত্তায় মিশে থাকায়, ক্রমশ নিমজ্জমান বাঙালির জাতিসত্তা, বস্তুগত ও অন্যের উপর প্রভুত্ব কায়েম করার লোভে বাঙালি এবং প্রায় সমগ্র ভারতবাসী সর্বতো ভাবেই গভীর সংকটের সম্মুখীন।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরু তথা নেতা তথা উপরওয়ালার করুণা লাভের বাসনা মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট এবং আদর্শও বটে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাল-মন্দের বিবেচনা-হীন গোষ্ঠী বা দলদাস প্রথা (মানুষ যতই সমাজবদ্ধ জীব হোক-না-কেন)। এখনও কি সময় আসেনি মনের আয়নায় দেখে নিজের-নিজের সত্তা, চেতনা জাগ্রত করার, সমস্ত বুজরুকি, ধাপ্পাবাজি নস্যাৎ করে মনুষ্যত্বের সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করার? পায়ের তলার মাটি চিনে নেবার তাগিদ পশুদেরও আছে। নববর্ষে, সারস্বত সাধকের অন্তরে তো বটেই সমস্ত বাঙালি হৃদয়ে বৃহত্তর স্বার্থে সকল ধর্ম-বর্ণ-জাতি-কূটনীতির ঊর্ধ্বে বিবেক জাগ্রত হোক।
লেখক এবং পাঠক-সমাজ যে কোন পত্রিকার সম্পদ, পাঠকের ভাল লাগাই পত্রিকার ভবিষ্যৎ। বাতায়ন-পরিবার বিশ্বাস রাখে পাঠকের ভাল লাগায়। আপনাদের শুভ কামনা আমাদের পাথেয়। সঙ্গে থাকুন, পাশে থাকুন।
No comments:
Post a Comment