বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য়
বর্ষ/৩য়/বীথি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা/১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
কবিতাগুচ্ছ
বীথি চট্টোপাধ্যায়
সময়
আমি যখন থাকবনা, আমার বাড়িতে তখন
কারা থাকবে নতুন করে এসে?
আমি নেই, আমার বাড়ির কেউ নেই।
বেড়ালরা ফুলের মতন ঝরে পড়ে আছে।
তবু বহুদিন তালা বন্ধ থাকার পর আবার
কারা থাকবে নতুন করে এসে?
আমি নেই, আমার বাড়ির কেউ নেই।
বেড়ালরা ফুলের মতন ঝরে পড়ে আছে।
তবু বহুদিন তালা বন্ধ থাকার পর আবার
কখনও তো খুলবে বাড়িটার দরজা।
নতুন যারা আসবে তারা কি বেড়াল ভালবাসে?
তারা কি গাছে জল দেবে বিকেলে?
তারা কি কুকুরের চোখের মণিতে দেখতে পাবে নীহারিকা?
ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে বাড়ি ফিরে এসে
তারা নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে ভাল ঘুমোবে।
ঘুম থেকে উঠে তারা ভাববে তাদের অসমাপ্ত কাজ
তারা কি ভুলেও মনে করবেনা যে এইখানে
আগে কেউ থাকত?
নাম ফলকে, ফটকে অন্য কিছু লেখা ছিল।
অন্য কারুর রং, রূপ, ওষুধের পাতা...
কখনও পড়ে থাকত এই বাড়িতে।
সকালে অন্য কেউ দরজা খুলে দিত।
অন্য কেউ ফেরত দিত খুচরো টাকা।
যেখানে এখন টেবিল, সেখানে ছিল আলমারি।
আলমারিতে জামাকাপড় ছিল অন্যরকম।
দেওয়ালে অন্য ছবি।
একসময় সেই ছবিতে অন্য কেউ এসে ফুল দিয়ে যেত।
আর যখন আমার একটা ছবিও কোথাও নেই।
তখন নতুন নতুন রঙে আমার বাড়ির ঘর আবার ভরে উঠছে।
অন্য স্বর শোনা যাচ্ছে।
অন্যদের কল্লোলে কল্লোলে
ঘর দুয়ার গমগম করছে।
কিন্তু আবার এই সবকিছুর পরে পরেই,
যারা নতুন এসেছিল তারাও একে একে সরে যাবে,
আলোর গতিবেগে।
অতঃপর একদিন একা কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে
আমার এখনকার বারান্দায়,
সে একা দাঁড়িয়ে ভাববে
এই বাড়িটাকে এতদিন ঠিকমতো দেখাই হয়নি;
বাড়িটাতে যেন অনেককাল আগেও কেউ থাকত!
আমার মুখ কি সে তখন দেখতে পাবে একা হয়ে গিয়ে?
আমার কাজের লোক তার জন্যে তখন কি
ঠান্ডা হাতে এনে দেবে জল?
বেড়ালরা জেগে উঠবে, ছাড়বে কি সহজে ওরা
একা কাউকে পেলে?
অনেকদিন পর যখন কেউ একা এসে বারান্দায় দাঁড়াবে
তার ছায়াকেও কি ধরে ফেলবেনা? বেড়ালের দল?
ঠান্ডা হাতে কেউ তাকে দিতে যাবে তৃষ্ণার জল?
যে একা অনির্বাণ বারান্দায় দাঁড়াবে,
সে কি কখনও আর ঘরে ফিরতে পারবে
এ-বাড়ির বারান্দা থেকে?
নতুন যারা আসবে তারা কি বেড়াল ভালবাসে?
তারা কি গাছে জল দেবে বিকেলে?
তারা কি কুকুরের চোখের মণিতে দেখতে পাবে নীহারিকা?
ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে বাড়ি ফিরে এসে
তারা নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে ভাল ঘুমোবে।
ঘুম থেকে উঠে তারা ভাববে তাদের অসমাপ্ত কাজ
তারা কি ভুলেও মনে করবেনা যে এইখানে
আগে কেউ থাকত?
নাম ফলকে, ফটকে অন্য কিছু লেখা ছিল।
অন্য কারুর রং, রূপ, ওষুধের পাতা...
কখনও পড়ে থাকত এই বাড়িতে।
সকালে অন্য কেউ দরজা খুলে দিত।
অন্য কেউ ফেরত দিত খুচরো টাকা।
যেখানে এখন টেবিল, সেখানে ছিল আলমারি।
আলমারিতে জামাকাপড় ছিল অন্যরকম।
দেওয়ালে অন্য ছবি।
একসময় সেই ছবিতে অন্য কেউ এসে ফুল দিয়ে যেত।
আর যখন আমার একটা ছবিও কোথাও নেই।
তখন নতুন নতুন রঙে আমার বাড়ির ঘর আবার ভরে উঠছে।
অন্য স্বর শোনা যাচ্ছে।
অন্যদের কল্লোলে কল্লোলে
ঘর দুয়ার গমগম করছে।
কিন্তু আবার এই সবকিছুর পরে পরেই,
যারা নতুন এসেছিল তারাও একে একে সরে যাবে,
আলোর গতিবেগে।
অতঃপর একদিন একা কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে
আমার এখনকার বারান্দায়,
সে একা দাঁড়িয়ে ভাববে
এই বাড়িটাকে এতদিন ঠিকমতো দেখাই হয়নি;
বাড়িটাতে যেন অনেককাল আগেও কেউ থাকত!
আমার মুখ কি সে তখন দেখতে পাবে একা হয়ে গিয়ে?
আমার কাজের লোক তার জন্যে তখন কি
ঠান্ডা হাতে এনে দেবে জল?
বেড়ালরা জেগে উঠবে, ছাড়বে কি সহজে ওরা
একা কাউকে পেলে?
অনেকদিন পর যখন কেউ একা এসে বারান্দায় দাঁড়াবে
তার ছায়াকেও কি ধরে ফেলবেনা? বেড়ালের দল?
ঠান্ডা হাতে কেউ তাকে দিতে যাবে তৃষ্ণার জল?
যে একা অনির্বাণ বারান্দায় দাঁড়াবে,
সে কি কখনও আর ঘরে ফিরতে পারবে
এ-বাড়ির বারান্দা থেকে?
No comments:
Post a Comment