বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/গল্পাণু/২য় বর্ষ/৯ম/অমিতাভ গুপ্ত সংখ্যা/১৮ই
শ্রাবণ, ১৪৩১
অমিতাভ গুপ্ত সংখ্যা | গল্পাণু
প্রভাত ভট্টাচার্য
জলপ্রপাত
"আস্তে আস্তে সে যেন হারিয়ে যাচ্ছে ওই জলপ্রপাতের বিপুল জলরাশির মধ্যে। তার শরীরের অণু-পরমাণু যেন মিশে যাচ্ছে সর্পিল জলধারার সঙ্গে। ধীরে ধীরে সে যেন জলপ্রপাতের অংশ হয়ে যাচ্ছে। আরে দাদা, এত ধারে এসে ঝুঁকছেন কেন! পড়ে যাবেন যে।"
রীতেশ কালই এসেছে মধ্যপ্রদেশের সুন্দর শহর জব্বলপুরে। অনেকদিন
বাদে বেরোনো হল কোলকাতা ছেড়ে। যা চাপ যাচ্ছিল ক’দিন। এবারে একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচা
যাবে।
হোটেলটা নর্মদা নদীর একদম কাছেই। সকালে একটু ঘুরে এলো নদীর ধার
থেকে। এবারে দেখতে যাবে সেই বিখ্যাত জলপ্রপাত, ধূয়াধার ফল্স।
রোপওয়ে চড়ে সে চলল ধূয়াধার ফল্স দেখতে। ভীষণ সুন্দর জলপ্রপাত।
জলস্রোত ধেয়ে এসে ফেনিল জলরাশিতে পরিণত হয়ে চলে যাচ্ছে। গায়ে এসে লাগছে জলের ছিটে।
কেমন যেন ঘোর লেগে যায় দেখতে দেখতে। আস্তে আস্তে সে যেন হারিয়ে যাচ্ছে ওই
জলপ্রপাতের বিপুল জলরাশির মধ্যে। তার শরীরের অণু-পরমাণু যেন মিশে যাচ্ছে সর্পিল
জলধারার সঙ্গে। ধীরে ধীরে সে যেন জলপ্রপাতের অংশ হয়ে যাচ্ছে।
আরে দাদা, এত ধারে এসে ঝুঁকছেন কেন! পড়ে যাবেন যে। বলে উঠল
একজন। সম্বিত ফিরে পেল সে। সরে এলো একটু। আজ সে একদমই হারিয়ে গিয়েছিল জলপ্রপাতের
মাঝে। সে গেয়ে উঠল – ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা...’ বাঁধনহারা জলস্রোতের
গর্জনের সাথে মিশে গেল তার মুক্ত মনের উচ্ছ্বাস।
সমাপ্ত
বাহ্, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাবার দুর্মর আকাঙ্ক্ষা। খুব সুন্দর। -- পাপিয়া অধিকারী
ReplyDeleteদারুন
ReplyDelete