বাতায়ন/মাসিক/কবিতাগুচ্ছ/২য়
বর্ষ/২২তম সংখ্যা/২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
কবিতাগুচ্ছ
| মোহন রায়হান | পারমাণবিক স্মৃতি
মোহন
রায়হান
পারমাণবিক স্মৃতি
আমরা অখণ্ড একপাত্র জলের মতন
ক্ষুরের কাছে থেকে তার ধারকে পৃথক করা
যেমন অসাধ্য মানুষের তেমনিই
অসম্ভব ছিল একদা আমার কাছ থেকে তোমাকে বিচ্ছিন্ন করা।
মুছে ফেলতে
পারবে এই নাম? পাথরের
পাঁজরে খোদিত এই
নাম বুকের গভীর থেকে? এই নামায়ন মুছে নিতে কঁকিয়ে
উঠবে হাড়, খুবলে খুবলে ঝরে পড়বে মাংসের মতো তাজা ইট
তোমার ঘরের পেছন দেয়াল।
বিছানায়
বাথরুমে কিচেন কিংবা ড্রইংরুমে ছাদে সম্মুখের
উঠোনে ট্যাক্সিতে সিনেমায় চিনে রেস্তোরাঁয় আয়নার সামনে
কসমেটিকসের বাক্সে শরৎচন্দ্রের উজ্জ্বল বাগানে ঠাকুরের গানে
আমার না-ফোটা মনের ভীরু সে কলি ফোটাবে কীভাবে তুমি?
তুমি কী করে
ভুলে যাবে সেইসব টুকরো টুকরো স্মৃতি
স্বচ্ছ করতোয়া যেভাবে উঠছে দুলে দুলে
তোমার বাড়ির পাশে
তাজমহলের মতো গড়ে উঠেছে যা রক্তে সত্যে হৃদয়ের
তিলে তিলে
সবকিছু তার ভুলেও তুমি আমাকে পারো না ভুলতে সখি।
এ জীবন সত্য
ছিল স্মৃতি ছিল তুমিও তো ছিলে
একদিন কিশোর-কিশোরী ছিল, হাতে ছিল বিচিত্র লজেন্স
জোছনার মাঠের ফল এসে তুমি দিয়েছিলে উদাসীন
এই উড়নচণ্ডীর হাতে
একদিন ফল ছিল এখন সন্তান তুমি তোল কার কোলে?
এখনও
নিশ্বাস আছে পৃথিবীতে
বাতাসের স্বরে বাজে সেইসব নীল মাঠ দুপুরের গান
বেদনা আহত পাখি বারবার বলে যায় ওই বুকে আমিও ছিলাম।
ক্ষুরের কাছে থেকে তার ধারকে পৃথক করা
যেমন অসাধ্য মানুষের তেমনিই
অসম্ভব ছিল একদা আমার কাছ থেকে তোমাকে বিচ্ছিন্ন করা।
নাম বুকের গভীর থেকে? এই নামায়ন মুছে নিতে কঁকিয়ে
উঠবে হাড়, খুবলে খুবলে ঝরে পড়বে মাংসের মতো তাজা ইট
তোমার ঘরের পেছন দেয়াল।
উঠোনে ট্যাক্সিতে সিনেমায় চিনে রেস্তোরাঁয় আয়নার সামনে
কসমেটিকসের বাক্সে শরৎচন্দ্রের উজ্জ্বল বাগানে ঠাকুরের গানে
আমার না-ফোটা মনের ভীরু সে কলি ফোটাবে কীভাবে তুমি?
স্বচ্ছ করতোয়া যেভাবে উঠছে দুলে দুলে
তোমার বাড়ির পাশে
তাজমহলের মতো গড়ে উঠেছে যা রক্তে সত্যে হৃদয়ের
তিলে তিলে
সবকিছু তার ভুলেও তুমি আমাকে পারো না ভুলতে সখি।
একদিন কিশোর-কিশোরী ছিল, হাতে ছিল বিচিত্র লজেন্স
জোছনার মাঠের ফল এসে তুমি দিয়েছিলে উদাসীন
এই উড়নচণ্ডীর হাতে
একদিন ফল ছিল এখন সন্তান তুমি তোল কার কোলে?
বাতাসের স্বরে বাজে সেইসব নীল মাঠ দুপুরের গান
বেদনা আহত পাখি বারবার বলে যায় ওই বুকে আমিও ছিলাম।
No comments:
Post a Comment