প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

রং | প্রতিজ্ঞা

  বাতায়ন/ রং /সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/ ৩ ২তম সংখ্যা/ ২৯শে ফাল্গুন ,   ১৪৩১ রং | সম্পাদকীয়   প্রতিজ্ঞা "নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লাল...

Saturday, November 9, 2024

চৈতালী চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা | ধর্ম ও সংস্কৃতি

বাতায়ন/মাসিক/সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/১৮তম সংখ্যা/২৩শে কার্ত্তিক, ১৪৩১

চৈতালী চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা | সম্পাদকীয়

ধর্ম ও সংস্কৃতি


"যে-কোনো কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী তাঁর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বিচারক। যদি-না তাঁর আত্মবিশ্বাস তথা নিজের সৃষ্টির প্রতি আস্থা থাকে। যদি তাঁর নিজের সৃষ্টি তাঁর কাছে প্রকৃত সৃষ্টি বলে মনে না হয়, যদি তিনি সৃষ্টিকালে যথার্থ সৎ না থেকে থাকেন, তবে অবশ্যই তাঁর সৃষ্টি ছাপা হওয়া উচিত নয়।"


সম্প্রতি মহাসমারোহে শক্তির আরাধনা হয়ে গেল। শক্তির আরাধনায় ঢাক বাজানো, চতুর্দশীতে চোদ্দো প্রদীপ জ্বালানো এবং দীপাবলীতে আলোর রোশনাই সংস্কৃতির সঙ্গেই প্রচলিত। কিন্তু সময় তার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে শব্দবাজি।
 
তা সে যত ডেসিব্‌লই হোক। কত মুমূর্ষু রোগী, কত দুর্বল হার্টের মানুষ, কত শিশু, বৃদ্ধ তার জন্য বিপন্নবোধ করেন, কে তার পরোয়া করে। এ তো গেল জগতের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের কথা, অতএব সমগ্র পশুপাখি সম্প্রদায়ের কথা না ভাবলেও দিব্যি চলে।
 
আসলে অধিকাংশ মানুষের মজ্জায় মিশে আছে আইন ভাঙা, শব্দদানবের তান্ডবের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রদর্শন। রাজনৈতিক নেতারা সমাজেরই ঘরের সন্তান, কাজেই যে-কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারাও জয়োল্লাসে সে-পথেই হাঁটবেন তাতে আর আশ্চর্য কী! অথচ তাঁরা নৈতিক দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন কি?
 
পাশাপাশি প্রশাসনের কথা না বললেই নয়। পুলিশ এবং প্রশাসন যেন একই বৃন্তে দুটি কুসুম। যদিও পুলিশের হাত-পা-ধড়-মুণ্ড প্রশাসনের হাতে বাঁধা। আইন যত শক্তিশালীই হোক আতশবাজি কারখানাগুলোর কোথায় কী হয় না-হয় তার খবর প্রশাসনের কাছে থাকে না এ-ও কী সম্ভব! কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিষয়টা সামনে আসা ছাড়া। বাকিটা নাগরিক সমাজ অনুমান করতে পারেন।
 
সেইসঙ্গে আছে অতি ধার্মিকের দল, যাঁরা কারণবারিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে অবগাহন করে গলিতে গলিতে আরাধনায় মত্ত। এবং মাইক-সহযোগে বিভিন্ন খ্যাতনামা শিল্পীদের (আদ্যিকাল থেকে হাল আমলের, যাঁর-যাঁর রুচি অনুযায়ী) সংগীতের প্রসার না ঘটালে যাঁদের আরাধনা সম্পূর্ণ হয় না। মূল পুজোর আগে ও পরে থাকে বিভিন্ন কণ্ঠী শিল্পী পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবং যাঁদের অধিকাংশই কোনদিন তালিম নিয়েছেন বলে মনে হয় না অথবা তাঁরা কোনোও রেওয়াজ আদৌ করেন কিনা তা স্বয়ং শক্তিরূপিণী কালিকাদেবী অবগত থাকতে পারেন।
 
প্রসঙ্গান্তরে একটা কথা বলে রাখা ভাল, যে-কোনো কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী তাঁর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বিচারক। যদি-না তাঁর আত্মবিশ্বাস তথা নিজের সৃষ্টির প্রতি আস্থা থাকে। কেউ কেউ মনে করেন, নিজের সম্পাদিত পত্রিকায় তাঁর লেখা ছাপা হবে কেন? যদি তাঁর নিজের সৃষ্টি তাঁর কাছে প্রকৃত সৃষ্টি বলে মনে না হয়, যদি তিনি সৃষ্টিকালে যথার্থ সৎ না থেকে থাকেন, তবে অবশ্যই তাঁর সৃষ্টি ছাপা হওয়া উচিত নয়।
 

No comments:

Post a Comment

মোহিনীমায়া


Popular Top 10 (Last 7 days)