বাতায়ন/মাসিক/কবিতা/২য়
বর্ষ/২২তম সংখ্যা/২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
মোহন
রায়হান সংখ্যা | কবিতা
গোবিন্দ
মোদক
ক্ষয়
বলেছিলাম- আর কটা দিন থেকে যাও!
কিন্তু কে শোনে কার কথা!
সব আয়োজন ভণ্ডুল করে নক্ষত্রের দেশে
চলে যাওয়াকেই তুমি শ্রেয় ভাবলে।
কিন্তু কে শোনে কার কথা!
সব আয়োজন ভণ্ডুল করে নক্ষত্রের দেশে
চলে যাওয়াকেই তুমি শ্রেয় ভাবলে।
জানলার
গরাদের এপারে দাঁড়িয়ে থেকে
চশমার কাচের ভেতর দিয়ে দেখতে থাকলাম-
একটা বিকেল ফিরে যাচ্ছে সন্ধ্যা হবার আগেই,
কারা যেন
হরিধ্বনি দিচ্ছে “রাম নাম সত্য হ্যায়!"
ওদিকে উনুনের আঁচ বয়ে যাচ্ছে
নিজের মতো কার।
জল চড়াবার তাগিদ নেই কারও।
চশমার কাচের ভেতর দিয়ে দেখতে থাকলাম-
একটা বিকেল ফিরে যাচ্ছে সন্ধ্যা হবার আগেই,
ওদিকে উনুনের আঁচ বয়ে যাচ্ছে
নিজের মতো কার।
জল চড়াবার তাগিদ নেই কারও।
ক্রমে চশমার কাচ ভারী হয়ে এলো আমার।
টের পেলাম পোষা পায়রাগুলোর ঝটপটানি।
ওরা কি জানে প্রিয়জন হারানোর বেদনা?
নাকি অনিঃশেষ কোনও কান্না কুড়াবার ছলে
ওরা বকম-বকম ডেকে ওঠে নিজেদের ভাষায়!
আমার জানা নেই!
শুধু জানি শব্দেরা হারিয়ে গেলে
বুকের কষ্টের পুঁটুলিটা
গলার কাছে এসে জমা হয়
আর একটা ভাদ্রদিন ক্ষয়ে যেতে থাকে
একটু একটু করে।
টের পেলাম পোষা পায়রাগুলোর ঝটপটানি।
ওরা কি জানে প্রিয়জন হারানোর বেদনা?
নাকি অনিঃশেষ কোনও কান্না কুড়াবার ছলে
ওরা বকম-বকম ডেকে ওঠে নিজেদের ভাষায়!
আমার জানা নেই!
শুধু জানি শব্দেরা হারিয়ে গেলে
বুকের কষ্টের পুঁটুলিটা
গলার কাছে এসে জমা হয়
আর একটা ভাদ্রদিন ক্ষয়ে যেতে থাকে
একটু একটু করে।
ভালো লাগলো কবিপ্রিয়!!
ReplyDeleteমনকাড়া
ReplyDeleteপরাণ মাঝি
বেশ ভালো লাগল।
ReplyDelete