বাতায়ন/মাসিক/সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/২৮তম
সংখ্যা/২রা ফাল্গুন, ১৪৩১
অমরেন্দ্র
চক্রবর্তী সংখ্যা | সম্পাদকীয়
মগজে আঘাত
"প্রশ্ন হলো যাঁরা বই কিনলেন বা উপহার পেলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই সে-সব বই পড়বেন, বইগুলি নিশ্চয়ই অনাদরে, অনাগ্রহের স্তূপে ঠাঁই পাবে না।"
সম্প্রতি সাহিত্যপ্রেমীর সেরা উৎসব
কলকাতা বইমেলা সম্পন্ন হলো। গোটা বছর ধরে প্রতিটি সাহিত্যপ্রেমী মানুষ অধীর আগ্রহে
অপেক্ষা করেন। বইয়ের সঙ্গে যে-কোনো ভাবে যুক্ত মানুষের ব্যস্ততা শত কাজের মধ্যেও বাড়তে
থাকে।
এ বছরে তরুণ কবি-সাহিত্যকদের উন্মাদনা
চোখে পড়ার মতো। ঝাঁক-ঝাঁক তরুণ কবি-সাহিত্যিক তাঁদের নতুন নতুন বই প্রকাশ করেছেন। আশা
করাই যায়, তাঁদের মধ্যে অনেকেই স্থায়ী আসন কেড়ে নেবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাঁদের
অনেকের বই বিক্রির কথাও জানা গেছে।
এখন প্রশ্ন হলো যাঁরা বই কিনলেন বা
উপহার পেলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই সে-সব বই পড়বেন, বইগুলি নিশ্চয়ই অনাদরে, অনাগ্রহের স্তূপে
ঠাঁই পাবে না। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক আশা নিয়ে পোস্ট করা লেখাগুলি যা যে-কোনো
(প্রতিষ্ঠিত এবং অপ্রতিষ্ঠিত) কবি-সাহিত্যিক অনেক মেধা-মনন বিনিময় করে সৃজন করেছেন, সেগুলির
দশা এমন কেন! সেই সমস্ত বই কি পাঠক হৃদয়ে যথেষ্ট দাগ কাটে না? রিচ অনেক হাই হওয়া সত্ত্বেও
পড়েন হাতে-গোনা মুষ্টিমেয় পাঠক, অথচ মন্তব্য এবং রিঅ্যাক্ট করেন প্রায় সকলেই। তবে কি
তারা সেই লেখককে খুশি করার জন্য ওপর ওপর প্রতিক্রিয়া দিয়েই তাদের দায়িত্ব সারেন?
আমরা বাঙালি পাঠক সমাজ আমাদের
অগ্রজদের তথা বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্য যদি ভুলে যাই, তার পরিণাম শুধু ভয়ংকরই নয় অবক্ষয়ের
পথ প্রসারিত করা।
যথার্থ লিখেছেন
ReplyDeleteঅদ্ভুত একটা সময় চলছে!
Deleteসব ক্ষেত্রেই অবক্ষয়।
ReplyDeleteবইমেলায় বই সাহিত্যপ্রেমী কত জন যান? শুধু সেলফি আর খাওয়া।
হ্যাঁ শুধুই আনন্দসমাগম আর লোক দেখানো, গভীরতা আছে কি আদৌ?
Delete