প্রথম বর্ষ/দ্বিতীয়
সংখ্যা/১লা মে, ২০২৩
অন্য চোখে
সুব্রত দে
থিয়েটার থিয়েটার
নাট্যদল
সমস্যা ও সম্ভাবনা
না, শুরুটা এত সহজে
হয়নি। বর্তমানে এই আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় বোকাবাক্স আর রূপালী পর্দার হাতছানি
এড়িয়ে নতুন ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নতুন দল তৈরি করে থিয়েটার করা এখন অসম্ভবই নয়, দুঃস্বপ্ন!
কিন্তু, সৎ প্রচেষ্টা যে বিফলে যায় না, তার প্রমাণও পেলাম। পেয়ে গেলাম আমার মতো ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’ বেশ কয়েকজন থিয়েটার মানসিকতার ছেলে-মেয়ে, ও মাঝ-বয়সি কয়েকজন মানুষ! না হলে পাঁচ বছরে পাঁচটি প্রযোজনা নামানো সম্ভব হত না। সম্ভব হয়েছে, নাট্যদলের প্রতিটি সদস্য-সদস্যাদের প্রতিনিয়ত নিরলস অক্লান্ত পরিশ্রম আর থিয়েটারের প্রতি ভালবাসা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায়। ভাঁড়ার ঘর শূন্য, অথচ খিদে অপরিসীম! বিজ্ঞানসম্মত ভাবে হাতে-কলমে রুটিন মাফিক নাট্যচর্চার ফলও পেলাম হাতে হাতে।
মুষ্টিমেয় কিছু চাটুকার নাট্যদল ছাড়া, এক গভীর সংকটের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে বেশির ভাগ থিয়েটার দলগুলো।
“আমরা ইঁদুর দৌড় বা দেওয়া-নেওয়া প্রথায় বিশ্বাসী নই।” তাই সুদিনের আশায় আগামী দিনগুলোতে বুক বেঁধে একসঙ্গে লড়াইটা আমরা চালিয়েই যাব। কারণ, থিয়েটারের লড়াইটা বহু যুগ যুগ ধরে চলছে। থিয়েটার আমাদের বেঁচে থাকার অক্সিজেন। সেই অক্সিজেন নিয়েই আমরা বেঁচে থাকতে চাই। থিয়েটার করা ছাড়া আমাদের যে আর কোনো অস্তিত্বই নেই...
No comments:
Post a Comment