সম্পাদকীয়
উত্তরণের লড়াই
রাজনীতি এবং প্রশাসকের
পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ প্রভাব থেকে কোন অবস্থাতেই মুক্ত থাকতে পারে না নাগরিক। একটা-না-একটা
সময়ে মেনে নিতে, জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়, যতই তার প্রতিরোধ ক্ষমতা থাক-না-কেন। যদিও ভোট
দেওয়ার অথবা তা নিষ্ক্রিয় করার অধিকার সংবিধান-সিদ্ধ।
যারা দলদাস, প্রত্যক্ষ
রাজনীতির শরিক তাদের কথা স্বতন্ত্র। প্রখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কথায়,
এক কথায় তাদের ‘…খুব গরিব’ বলা চলে। কিন্তু পৃথিবীতে সময় কাটানোর, বিনোদনের রকমারি
উপাদান থাকা সত্ত্বেও যারা সারস্বত সাধনায় রত, নিয়ত সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বহন করেন, তারা
নিশ্চিত ভাবেই ততটা ‘গরিব’ নন। যে কোন অর্থেই তারা ন্যায্য ও প্রাপ্য অধিকার অর্জনের
জন্য বদ্ধপরিকর।
‘রক্তকরবী’তে আমরা
‘মকরের দাঁত’এর কথা জানি। মিথ্যা বাহবার ফাঁদে পা দিয়ে যারা অন্ধের মতো নিজেদের প্রতিভার
অবিচার করে দম্ভের ধ্বজা ওড়াচ্ছেন। ভবিষ্যৎ তাদের কী পরিচয়ে মনে রাখবে, তাদেরও ভেবে
দেখার অবকাশ এসে গেছে।
পেটের জ্বালা এবং মনের
জ্বালা গুলিয়ে ফেলাও কোন কাজের কথা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যতই রিঅ্যাকশনের বন্যা বয়ে
যাক।
তাই, ঐতিহ্যের কথা মাথায়
রেখে, সুস্থ ও স্বাভাবিক সংস্কৃতির স্বার্থে, সারস্বত-সাধকের অন্তত ‘কৃপাপ্রার্থী,
উমেদার’ না হয়ে বরং মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলাই হোক এক মাত্র পথ।
নির্ভীক সম্পাদকীয়।
ReplyDeleteসঙ্গে থাকুন।
Delete