বাতায়ন/গল্পাণু/১ম
বর্ষ/৫ম সংখ্যা/১৫ই মে, ২০২৩
গল্পাণু
সোনালী দে
তৃষ্ণা
“জরুরি কথাটা না বললেই
নয়”, এই বলে শৌনক তৃষাকে জড়িয়ে ধরল। তৃষার মনে কয়েক লক্ষ প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে,
উপযুক্ত উত্তরের আশায়। শৌনক তৃষাকে আদরে ভরিয়ে দেয়। তৃষার ভাল লাগলেও বেশ
অস্বস্তির মধ্যে থাকে। যদি ইচ্ছে না করে তাহলে ভগবানের বাবার সাধ্যি নেই শৌনকের
মুখ দিয়ে একটি কথা বের করবে।
তাই শুধু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বাইরে তখন ভাদ্রের অভদ্র গরমকে শায়েস্তা করার জন্য বরুণদেব বৃষ্টিবাণ ছুঁড়ছেন বীরপুরুষের মতো।
তৃষ্ণা মেটানোর জীবন রস
ছাড়া তো তৃষার কাছে আর কিছুই নেই। তবে কী ওর কাছে শৌনক শুধু মাত্র মোহ-কুহকের জালে
আটকে পড়েছিল, ভালবাসার বিন্দুমাত্র আস্বাদ পায়নি!
বাবা-মা হারানো অনাথ
মেয়ে তৃষা বড় অবলম্বন ভেবেছিল শৌনককে। আজ নিজেকে বড় বোকা বোকা লাগে তৃষার। গাল
ছুঁয়ে কানের কাছে একটা কথা ভেসে এল “আজ শেষ বারের মতো আমায় আদর করে নাও।”
হঠাৎ একটা ঝোড়ো হাওয়া বারান্দার দরজা ডিঙিয়ে সোজা ঘরের টেবিলের উপর থেকে একটি রিপোর্ট, প্লাস্টিকের ভিতর থেকে বাইরে বের করে মাটিতে ওড়াতে থাকে। তৃষা অল্প আলোয় ঠিক বুঝতে পারে না, ও শৌনককে ছেড়ে নিচু হয়ে রিপোর্টটা তুলতে যায়। শৌনক দরজার লক খুলে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে যায়। ভাদ্রের অভদ্র বৃষ্টি ওকে বাগে পেয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে ভিজিয়ে একশা করে দেয়।
তৃষা আকন্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে
বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে স্থবিরের মতো। বৃষ্টি ওকেও রেহাই দেয় না।
তাই শুধু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বাইরে তখন ভাদ্রের অভদ্র গরমকে শায়েস্তা করার জন্য বরুণদেব বৃষ্টিবাণ ছুঁড়ছেন বীরপুরুষের মতো।
হঠাৎ একটা ঝোড়ো হাওয়া বারান্দার দরজা ডিঙিয়ে সোজা ঘরের টেবিলের উপর থেকে একটি রিপোর্ট, প্লাস্টিকের ভিতর থেকে বাইরে বের করে মাটিতে ওড়াতে থাকে। তৃষা অল্প আলোয় ঠিক বুঝতে পারে না, ও শৌনককে ছেড়ে নিচু হয়ে রিপোর্টটা তুলতে যায়। শৌনক দরজার লক খুলে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে যায়। ভাদ্রের অভদ্র বৃষ্টি ওকে বাগে পেয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে ভিজিয়ে একশা করে দেয়।
No comments:
Post a Comment