প্রথম বর্ষ/তৃতীয়
সংখ্যা/সাপ্তাহিকী/৬ই মে, ২০২৩
কবিতা
অজিতেশ নাগ
অতিক্রম
সমুদ্রের ঠিক বিপরীত দিকে যে জনপদ আছে,
তাতে খাদ্য আছে, পাথুরে ছাদ আছে, বাজার আছে, বেশ্যালয়ও আছে।
একটু আগে পথিক গলা অবধি রসদ ঠুসে বেশ্যালয় ঘুরে সমুদ্রে নেমেছে।
তারও আগে সে প্রাণভরে স্নান করেছে, বেশ করে বনজ লতা ঘষে ঘষে।
ওর সঞ্চিত প্রতিভার খানিকটা বিক্রি করে কাঁধের ঝোলায় পুরেছে।
এখনও আমার পায়ের হাঁটু অবধি ডুবে লবনাক্ত জলে।
গত দু’দিন ধরে আমি পান করিনি, খাইনিও; না রক্ত না মাংস।
রোদ পোয়ানোর জন্য ছটফট করেছি মাটির দাওয়ায়।
আমাদের ভুখন্ডে রোদ প্রবেশের মানা আছে,
মানা আছে সমুদ্রের কাছে যাওয়ার। নারীসহবাসে আছে বিতৃষ্ণা।
ও জানে না, আমি ওকে খুন করতে চলেছি।
এ যাবৎ গুহাপুরুষের জীবন জড়ো করে পথিকের বুকে প্রোথিত করব।
ওর চোখে চোখ রেখে জানাব ‘বালি পথ পেরিয়ে এসো পথিক’
এপারেও তোমার জন্য ছাদ, খাদ্য, বেশ্যালয়, বাজার সব মজুত আছে।
তারপর আলগোছে ছিনিয়ে নেব ওর কাঁধের ঝোলা আর পা রাখব সমুদ্রে।
ওর কাছে মৃত্যু মানেই আমার জন্য নারী, সুবাস, ঘুম, শান্তি।
অনবদ্য!
ReplyDeleteঅসাধারণ
ReplyDeleteঅসাধারণ...
ReplyDeleteঅসাধারণ
ReplyDelete