আলোর অধিকার
প্রকৃত অর্থে অন্ধকারের জীব ব্যতীত আলোর অধিকারী সকলেই। সে জ্ঞান, শিক্ষা বা সৃষ্টির আলো যাই হোক-না কেন। তাতে যদি কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা কৃত্রিম ভাবে অনালোকিত বস্তু-বিষয় বা জীবকে আলোকিত দেখানোর চেষ্টা করে সেই মেকি প্রচেষ্টা শুধু অন্যায়ই নয় তা সৃষ্টিকে ক্রমাগত ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যায়।
সচেতন নাগরিক মাত্রেই সে কথা জানেন এবং মনে মনে হলেও তা মানেন। কিন্তু, দীর্ঘদিন সেন্সর করা সমাজ-জীবনে অভ্যস্ত হওয়ায় প্রতিকার তো দূরস্থ প্রতিবাদ বা দাবি করা যে ন্যায্য অধিকার সে কথা বিস্মৃত হয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে ঝান্ডাতন্ত্র। দল-মত নির্বিশেষে যাদের হয়ে ওঠার কথা ছিল জনগণের বন্ধু তারা কী তাদের ভূমিকা পালন করছেন? সকলে সব জানা সত্ত্বেও মূল প্রশ্ন থেকেই যায় ‘বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে’।
আজ শিক্ষা থেকে সম্মান অর্জনের দরকার পড়ে না, সবই মনোহারি দ্রব্যের মতো এবং বাড়িতে বসেই সহজলভ্য। শুধু মূল্য চোকালেই হল, সে যেমন মূল্যই হোক-না কেন। এই জন্যই কী সভ্যতা! এই জন্যই মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ এবং শ্রেষ্ঠ জীব! তবে মানুষের মনুষ্যত্বে ধিক্কার।
No comments:
Post a Comment