বাতায়ন/গল্পাণু/১ম বর্ষ/১১তম
সংখ্যা/৮ই আষাঢ়, ১৪৩০
গল্পাণু
সুদামকৃষ্ণ মন্ডল
না বলা কথা
বেলা যখন অস্তাচলে তখনই নাকি প্রেমের কথা মুখে-গলায় এসে থমকে থাকে। বমি হওয়ার মতো প্রেমিক- প্রেমিকা একত্রিত হলে গড়গড় করে বলে পরস্পরকে। এমন সব কথা সে কথা আর কাউকে বলা যায় না।
যে-ভাবে দু’টি কপোতকপোতী ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমি,
শালিকদ্বয় অথবা অভিন্ন হৃদয় বলে থাকে। একটা জ্বলন্ত সিগরেটে টান, এক গ্লাস
পানীয়তে চুমুক, একটা ডাবে দু’টো পাইপ লাগিয়ে চুমুক, ট্রেনের মধ্যেই চিপ্স অথবা
ঘুগনির বাটিতে এক চামচে খাওয়া, খাইয়ে দেওয়া, এক পেয়ারায় এক সঙ্গে কামড় দেওয়া,
রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানির প্লেটে লেগপিস থেকে একসঙ্গে কামড় দেওয়া যেন
যুগান্তকারী। দেখে হিংসে হয় না? দেখে দুঃখ হয় কামনা মিশ্রিত আচরণ দেখে। ভাদ্র
মাসের কুকুর অথবা বন্যপ্রাণীদের কামজ অভ্যাস যেমন। কিছুদিন পর তাদেরই দেখি
ডিভোর্সী নয়তো ঝিয়ের কাজে, পতিতা পল্লী, পরপুরুষ কিংবা স্ত্রীকে কাছে নিয়ে
জীবনযাপন। এগুলো কিন্তু কেউ কাউকে বলে না। যে-ভাবে বলেনি সবিতা। মানুষ সভ্য,
শিক্ষিত। প্রেমের বেলায় অসভ্যতা রাস্তাঘাটে, যানবাহনে কেন। গোধূলিবেলায় সোনালি
আলোয় সমুজ্জ্বল দেখাচ্ছে। ট্রেন রাস্তায় বসে চুমু খাচ্ছে। বুকের ওড়না নামিয়েছে
এমন সময় সবিতা সপাটে বেনুকে চড় মারল। বেনু কিছু বলল না। এ কথা সে কাউকে কোনওদিন
বলেওনি।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment