বাতায়ন/কবিতা/সাপ্তাহিকী/১ম বর্ষ/১৪তম সংখ্যা/১২ই শ্রাবণ, ১৪৩০
কবিতা
কেতকীপ্রসাদ রায়
স্বেচ্ছায় পরবাসী
নিজেকে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি করে মৃদঙ্গের
তালে তালে অপ্সরাদের স্বর্গসুখ নিই জল চিকচিক জ্যোত্স্নায় নদীর বুকে ভেসে। দেওয়াল
টিপলেই আলো-জল-বাতাস আসে; টেবিলে বসলেই রকমফের মহাভোজ। চাইলেই স্নান ঘরে ঈষদ-উষ্ণ
জলে গোলাপের পাপড়ি... এমন স্বেচ্ছায় বনবাসী হতে কার না ইচ্ছে করে! অপূর্ণতার ভিতর
থেকে উঠে আসা ইচ্ছেগুলো শীত ঘুমের মতো বরফে ঢাকা ছিল এতদিন। শীত ঘুম ভেঙে সবুজ
পাতাগুলো মেলে ধরেছে রঙিন গালিচা। অথচ দ্যাখো, এখনও দু'পায়ে জড়িয়ে রয়েছে এঁটেল
মাটি। হাটুরের পায়ে লেগে রয়েছে প্রাত্যহিকী নিয়মাবলি। আরও দ্যাখো, ভূমিপুত্র বলে
যেখানে দাবি করে এসেছি সাড়ম্বরে, সে-সব ছেড়ে এখন পরবাসে কত সাবলীল। ডারউইনের
বিবর্তন তত্ত্বের মতো বিচ্ছিন্ন যোগাযোগের মধ্যেও কষ্ট এখন সামলে নিয়েছি বিস্তর।
স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গৃহবন্দি থাকলে রামচন্দ্রের বনবাসও কখনও কখনও সুজাতার পায়েসের
মতো মধুর লাগে। আর এখন ঐ-সব সুখের মধ্যে থেকেও এই পরবাস আমার কপালে চাঁদের টিপ
দিয়ে যায়।
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানাই 🙏
ReplyDelete