বাতায়ন/সম্পাদকীয়/১ম
বর্ষ/১৮তম সংখ্যা/২২শে ভাদ্র, ১৪৩০
সম্পাদকীয়
দিন গোনা
ক্যালেন্ডারের পাতায়
শরৎ এসে গেছে, তবুও সোনা রোদের দেখা এখনও মেলেনি। আনন্দময়ীর আগমনের পদধ্বনি মানুষের
হৃদয়ে। নাগরিক মন সাধ এবং সাধ্যের সামঞ্জস্য রক্ষার তাগিদে উদয়াস্ত কর্মব্যস্ত। উৎসবের
মরশুমে যে যার মতো করে আনন্দ যজ্ঞ আয়োজনের পরিকল্পনায় রত। সকলেই দিন গুনছেন কবে আসবে
সেই বহু প্রতীক্ষিত মহা-ক্ষণ। যদিও বঙ্গে এখন সংবৎসর উৎসব এবং বহু সংখ্যক মানুষই আনন্দ
ব্যাকুল।
যেমন সকলেই ভাল হলে
মন্দের সঙ্গে তফাৎ থাকে না। তেমনই গোটা বছরই আনন্দ, উৎসব করলে আনন্দেও কি ভাটা পড়ে
না! এই উৎসবমুখরতা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সেইসব মানুষকে কি লাগামছাড়া হতে বাধ্য
করে না? সুকবি মধুপর্ণা বসু তার ‘অগস্ত্য যাত্রা’ কবিতায় খুবই প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলেছেন।
উচ্চ পদে আসীন মহান ও মহীয়সী ব্যক্তিত্ত্বরা নিশ্চয়ই ডিজিটাল মনশ্চক্ষে এ সবই অবলোকন
করেন। এবং তাঁরা যা করেন অবশ্যই সমাজের ভালর জন্যই করেন!
বঙ্গে এখন ভাতা-র জোয়ার।
কথায় বলে ভাত দেয় ভাতার। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও ভাতা দেওয়ার অভাব নেই। এই ভাতা
এবং বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলি তাদের (ন্যায্য!) পাওনা অনুপ্রেরণা থেকে কিছু
অংশ কি স্থায়ী সুপরিকল্পিত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থায় ব্যয় করতে পারেন না? তাতে তো মহান
ব্যক্তিত্ত্বরা সত্যিকারের ভাতার হতে পারেন। আজকের নপুংসক ধরিত্রীতে ভাতারের বড়ই অভাব।
মহাজন, ভেবে দেখতে পারেন একবার।
অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় তুলে ধরেছেন। সম্পাদক দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানালাম।
ReplyDelete