বাতায়ন/সম্পাদকীয়/১ম
বর্ষ/২৩তম সংখ্যা/১০ই কার্তিক, ১৪৩০
সম্পাদকীয়
অপ্রাপ্তি ও আবেগ
প্রাপ্তির ঝুলি শূন্য
হয়ে যতই বেড়ে উঠতে থাকে অপ্রাপ্তির বোঝা ততই মন্থিত হতে থাকে আবেগের আতিশয্যে। মানুষ
ঝাঁপিয়ে প’ড়ে নিমেষে পেতে চায়, যা কিছু তার প্রাপ্য এবং যা তার আদৌ প্রাপ্য নয়। এমনকি
তার পাওয়ার যোগ্যতাও বিবেচনাহীন হয়ে পড়ে।
ভোগবাদের দুনিয়ায় কেউই
কারোর থেকে ছোট হতে, যোগ্যতম ব্যক্তির থেকেও ছোট ভাবতে রাজি নয়। সকলেই নিজেকে জগতের
যে কোন বিখ্যাত মানুষের সমকক্ষ জ্ঞান করতে থাকে। অথচ সেইসব খ্যাতনামা মানুষের খ্যাতির
পিছনে যে চর্চা, যে নিষ্ঠা, দীর্ঘ অধ্যাবসায়ের অধ্যায় আছে তা মনে রাখার প্রয়োজন বোধ
করে না। একবারও মনে আসে না আমিও তার মতো চর্চার মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলব না কেন। কেনই-বা
প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে নিজেকে নিজের থেকে অতিক্রম করে গড়ে তুলে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী
হব না কেন।
চালাকির দ্বারা কোন মহৎ কার্য সম্পন্ন হয় না, হয়নি কখনও। গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে না গিয়ে দিনান্তে একবারও যদি নিজের সামনে নিজেকে দাঁড় করানো যায়, কিছুই কি মনে হয় না মানুষের, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের? তবে শ্রেষ্ঠ জীবের অহংকার কেন!
সমগ্র মানবজাতির ভাল চেয়ে, নিদেন পক্ষে নিজের ভাল চেয়ে, নিজের সন্তানের ভাল চেয়ে মানুষ দিনান্তে নিশ্চয়ই একদিন নিজের মনের আয়নায় মুখ দেখবেই একবার, আজ নয়তো কাল। এই আশা মানুষের ওপর করা যেতেই পারে।
আমিই বা কম কিসে _এমন ভাবনাতেই অনেকে মেতে আছে। তারা নগদ বিদায় চায়।
ReplyDelete