প্রতিচ্ছবির ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য
তবে তখনই মাথায় আসে সেই লাইন... ‘তুমি কি কেবলই পটে আঁকা ছবি…?’ তার মানেই ওই লাইনেই পরিষ্কার... ছবি থেকেই কল্পনা জন্মাচ্ছে। আলোর প্রতিবিম্ব আর প্রতিসরণ এগুলোর তো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অবশ্যই... কিন্তু আমাদের জীবনমুখী ভাবধারা, অনুভূতি, মগজ তথা পিটুইটারির ক্ষরণ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। আমরা আসলে যাকে সাহিত্য বলি, সেটি আদতে নিজের অনুভূতি অথবা চাক্ষুষ যা কিছু সব ব্যক্ত করি ভাষায়। ব্যাকরণ একটি ছক... যার মাধ্যমে সাহিত্য ধারার বিভিন্ন নামকরণ হয়েছে। তবে সবকিছুর যেমন ভালমন্দ দিক আছে, এক্ষেত্রেও এটিও ব্যতিক্রম নয়... যেমন, প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখাটা খুব জরুরি। এমন অহেতুক ছবি সাহিত্যের উঠোনে জুড়ব না… যেটি সাহিত্যকে ঢেকে দেবে... প্রাসঙ্গিকতাকে তরান্বিত করতে ছবি একটা সম্পর্ক তৈরি করে। কারণ যারা আঁকেন, তারাও একই ভাবে একটি গল্প বা ভাব ফুটিয়ে তুলতেই মরিয়া হন। আবার উপলব্ধি বিভিন্ন ভাবধারায় প্রভাবিত। দেখা যায় একটা লেখা থেকে হাজার লেখা বেরিয়ে এলো বিভিন্ন ভাবধারায়।
ফেসবুক কথার অর্থ মুখ পুস্তিকা। সাহিত্য যখন মলাটবন্দি পুস্তক... তখন যেটি আমরা কল্পনায় আনতে চাই... মুখপুস্তিকা (ফেসবুক) সেটিকে অনায়াসে প্রকাশ্যে আনতে পারে।
সব শেষে একটা কথাই বলি… আমরা যখন যে লেখাই কলমে ধরি, সার্বিক যতই বলি, অস্বীকার করার জায়গা নেই, বেশিরভাগ পাঠক যেন লেখক/লেখিকাকেই চরিত্র আকারে ভাবতে ভালবাসেন। তাই ব্যক্তিগত প্রশ্নের সম্মুখীনও কিছু ক্ষেত্রে হতে হয়। একটা লেখক/লেখিকার সেখানেই মনে করি সার্থকতা।
সমাপ্ত
অসাধারন উপলব্ধির সুন্দরতম প্রকাশ। শুভেচ্ছা অবিরাম
ReplyDeleteঅশেষ প্রাপ্তি আমার
Deleteনিরন্তর শুভকামনা।
Delete