বাতায়ন/কবিতাণু/১ম বর্ষ/২৭তম সংখ্যা/১৩ই পৌষ, ১৪৩০
কবিতাণু
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
[আটটি অণুকবিতা]
পবিত্ৰ পাপ ও অন্যান্য
পবিত্ৰ পাপ আমাকে রোজ ঈশ্বরের
কাছে নিয়ে যায়
অনন্ত শূন্য যেমন ভগ্নাংশ থেকেও শূন্য, মেঘ ছাড়া যেমন বৃষ্টি হয় না বৃষ্টি ছাড়া যেমন উদ্ভিদ কল্পনারহিত
আহম্মক আমি তবু এখানো মাটি খুঁড়ে চলেছি…
আঘাত
কোথাও আঘাতপ্রাপ্তির চিহ্নটি নেই তবু রক্ত ঝরছে
চোখের কোণে ক্রমশ জমা হচ্ছে বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ
আমি এখন জেনে গেছি যে-কোনো অপাংক্তেয়
জন্ম বা মৃত্যু পরিচিয়হীন…
প্রেম
যে-কোনো অবচেতনের খেলার নাম প্রেম
এত সহজ করে বললে কি হয়?
কীসে কী হয় মা জননী? বুকের ভেতরটা হু হু করে
উঠছে এবার? উঠছে না?
রুমাল
অপর যেখানে অপর নয় সেই সব খেলা সমানে চলেছে, কোথাও তার রদবদল হচ্ছে না
নির্জনতার জন্য জয়কে মান্যতা দেওয়া আর ঠিক তার জন্যই কৃষ্ণা দ্বাদশীর চাঁদ, মান্যবর…
আয়না
যতক্ষণ মুখ দেখা যায় ততক্ষণ বিস্ময়
পিছনের পারদ তাই ভাবে, আয়নার কাছে গিয়ে
আমি তাই খুঁজে ফিরি সমুদ্র আর আকাশের বর্ণমালা
দিন-কে-দিন কাব্যকেও অনায়াসে টেক্কা দিচ্ছে…
সীমান্ত
যেখানে লড়াই সেখানেই সীমান্ত, বায়ুমন্ডলের শেষ অব্দি যেখান যেখানে গোরস্থান, যেখানে শ্মশান
সেখানে স্বত্বাধিকার, স্বাধীনতার লড়াই, তারই মাঝে
এত নৌকো অথৈ জলধি… আনলি কেন ফিরিয়ে নে
পাগল
প্রসন্ন হেসে চলে যায় পাগল
আমি বলি ঈশ্বর
প্রথমে ব্যর্থ হয়ে সে অলৌকিক ছন্দ জানে
লজিক জানে না…
অনন্ত শূন্য যেমন ভগ্নাংশ থেকেও শূন্য, মেঘ ছাড়া যেমন বৃষ্টি হয় না বৃষ্টি ছাড়া যেমন উদ্ভিদ কল্পনারহিত
আহম্মক আমি তবু এখানো মাটি খুঁড়ে চলেছি…
আঘাত
কোথাও আঘাতপ্রাপ্তির চিহ্নটি নেই তবু রক্ত ঝরছে
চোখের কোণে ক্রমশ জমা হচ্ছে বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ
আমি এখন জেনে গেছি যে-কোনো অপাংক্তেয়
জন্ম বা মৃত্যু পরিচিয়হীন…
প্রেম
যে-কোনো অবচেতনের খেলার নাম প্রেম
এত সহজ করে বললে কি হয়?
কীসে কী হয় মা জননী? বুকের ভেতরটা হু হু করে
উঠছে এবার? উঠছে না?
রুমাল
অপর যেখানে অপর নয় সেই সব খেলা সমানে চলেছে, কোথাও তার রদবদল হচ্ছে না
নির্জনতার জন্য জয়কে মান্যতা দেওয়া আর ঠিক তার জন্যই কৃষ্ণা দ্বাদশীর চাঁদ, মান্যবর…
আয়না
যতক্ষণ মুখ দেখা যায় ততক্ষণ বিস্ময়
পিছনের পারদ তাই ভাবে, আয়নার কাছে গিয়ে
আমি তাই খুঁজে ফিরি সমুদ্র আর আকাশের বর্ণমালা
দিন-কে-দিন কাব্যকেও অনায়াসে টেক্কা দিচ্ছে…
সীমান্ত
যেখানে লড়াই সেখানেই সীমান্ত, বায়ুমন্ডলের শেষ অব্দি যেখান যেখানে গোরস্থান, যেখানে শ্মশান
সেখানে স্বত্বাধিকার, স্বাধীনতার লড়াই, তারই মাঝে
এত নৌকো অথৈ জলধি… আনলি কেন ফিরিয়ে নে
পাগল
প্রসন্ন হেসে চলে যায় পাগল
আমি বলি ঈশ্বর
প্রথমে ব্যর্থ হয়ে সে অলৌকিক ছন্দ জানে
লজিক জানে না…
কবি
কবি কখনো মিথ্যে বলে না, সারাজীবনের
বিষণ্ণতা আর বিষাদ তাকে বাধ্য করে
সত্যভাষণে, স্বাতী অরুন্ধতী সমস্ত তাঁর আকাশ
নক্ষত্ররাজি অঙ্গুরীয়…
বিষণ্ণতা আর বিষাদ তাকে বাধ্য করে
সত্যভাষণে, স্বাতী অরুন্ধতী সমস্ত তাঁর আকাশ
নক্ষত্ররাজি অঙ্গুরীয়…
ভালো লাগল।
ReplyDelete