বাতায়ন/সম্পাদকীয়/১ম
বর্ষ/২৭তম সংখ্যা/১৩ই পৌষ, ১৪৩০
সম্পাদকীয়
‘সত্যেরে লও সহজে’
না, ‘সত্যমেব জয়তে’র
কথা নয় আবার হ্যাঁ-ও বটে। সত্যকে সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারে ক’জন? সকলেই মনের মতো মুখের
আড়ালে থাকতেই পছন্দ করে এবং প্রকৃত সত্যের অপলাপ ঘটিয়ে গড্ডলিকা প্রবাহে কীভাবে মিশে
যেতে পারে সে বিষয়ে যথেষ্ট যত্নবান। কিন্তু মুশকিলটা হল সত্য একদিন-না-একদিন প্রকাশ
হয়েই যায় দিনে বা রাতে, জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরে। অবশ্য যাদের জীবন মনুষ্যেতর প্রাণীর
মতো শুধু জীবনেই সীমিত তারা অবশ্যই স্বাতন্ত্র্যের দাবিদার!
অবশ্য যেখানে ইতিহাসের
বদলে নতুন মনোমতো ইতিহাস লেখা হয়, পুরনো কীর্তির নতুন করে শিলান্যাস হয় সেখানে সবকিছুই
স্বাভাবিকের তকমা দেওয়াই রীতি! পিছন থেকে ছুরি মেরে অন্তর্ঘাতের দ্বারা সাধারণকে নিষ্পেষিত
করা হয়, নজর ঘুরিয়ে দেওয়া হয় হুজুগের দিকে, মূল সমস্যা ধামাচাপা পড়ে ধ্বজার নীচে সেখানে
এসবই স্বাভাবিক।
মীরজাফরের ইতিহাস সকলেরই জানা। তাই, মহাকালের বিচারের ওপর আস্থা রাখতেই হয়। সর্বোপরি ‘পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না’ এ কথা সকলেরই জানা, কিন্তু কৃত্রিম ফুল অন্তঃস্থলে কোন কর্মেই লাগে না।
একদম,সুন্দর বলেছেন,সহমত।
ReplyDeleteআপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। পরিচয় দিলে ভাল লাগত।
Delete