বাতায়ন/কবিতা/১ম বর্ষ/২৮তম সংখ্যা/২৭শে পৌষ, ১৪৩০
কবিতা
অজিতেশ নাগ
শ্মশান থেকে ফিরে
এই তো গত পরশু দেখে এলাম,
এই তো মনে হল অনেকটা প্রাণ তখনো সঞ্চয়ে,
পা থেকে মাথা অবধি সশরীরে অধিষ্ঠান,
অনিয়মিত হলেও প্রশ্বাস মিশে যাচ্ছে জাগতিক বায়ুমন্ডলীতে।
অথচ আজ অনিচ্ছায় দেখে ফেলি শূন্য খাট,
মাথার কাছে, বালিশের পাশে ওষুধ, ব্যবহারিক জিনিসপত্র…
ইত্যাদি ইত্যাদি সাজিয়ে রাখা চিরকালীন অব্যবহারের জন্য।
আর ইলেকট্রিক চুল্লির আশেপাশে কিছু ফুল, ছড়ানো ছিটানো,
একটা ভাঙা কলসি, আবছা হরিনামসংকীর্তন,
হালকা ধুপকাঠি আরো হালকা হতে থাকে, পিছু ধাওয়া করতে থাকে;
চুল্লির ভিতরে অতি ধীরে প্রবেশ করতে থাকা সাদা চাদরখানার।
বাইরে তখন,
ডাল-কচুরি, পান-সিগারেট-চা আর আধহাত, দুহাত সাদা কাপড়ের দোকানে;
রমরমা বিক্রি।
আমার দু-চোখের কোণে অস্পষ্ট দু-ফোঁটা জল;
এটাই কি মৃত্যু?
এই তো মনে হল অনেকটা প্রাণ তখনো সঞ্চয়ে,
পা থেকে মাথা অবধি সশরীরে অধিষ্ঠান,
অনিয়মিত হলেও প্রশ্বাস মিশে যাচ্ছে জাগতিক বায়ুমন্ডলীতে।
মাথার কাছে, বালিশের পাশে ওষুধ, ব্যবহারিক জিনিসপত্র…
ইত্যাদি ইত্যাদি সাজিয়ে রাখা চিরকালীন অব্যবহারের জন্য।
একটা ভাঙা কলসি, আবছা হরিনামসংকীর্তন,
হালকা ধুপকাঠি আরো হালকা হতে থাকে, পিছু ধাওয়া করতে থাকে;
চুল্লির ভিতরে অতি ধীরে প্রবেশ করতে থাকা সাদা চাদরখানার।
ডাল-কচুরি, পান-সিগারেট-চা আর আধহাত, দুহাত সাদা কাপড়ের দোকানে;
রমরমা বিক্রি।
এটাই কি মৃত্যু?
সার্থক কবিতা।
ReplyDeleteঅসাধারণ
ReplyDeleteঅসাধারণ
ReplyDeleteঅসাধারণ বাস্তব চিত্র।
ReplyDelete