বাতায়ন/সম্পাদকীয়/১ম
বর্ষ/২৮তম সংখ্যা/২৭শে পৌষ, ১৪৩০
সম্পাদকীয়
বহমানতা
সময় তার নিজের ধর্মে
বয়ে চলে। নদীও স্বাভাবিক ধর্মে বয়েই চলে, যদি তাকে বেঁধে রাখা না হয়। সভ্যতা, তথা প্রযুক্তি
নদীকে বেঁধেছে সভ্য মানুষের স্বার্থে। সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে। সেই কল্যাণ-কামনা শেষ
পর্যন্ত কল্যাণেই সীমিত থাকেনি। দূষিত করেছে জীবন। বিভিন্ন ক্ষেত্রের অপরিমেয় দূষণে
দুর্বিষহ করেছে পরিবেশ।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে
স্বকৃত-কীর্তি এবং অ-স্বকৃত-কীর্তি স্বকৃত চিহ্নিতকরণের বহুল প্রচার চোখে পড়ে, দল-মত
নির্বিশেষে এমনকি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষেও। সকলেই প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর যে তিনিই শ্রেষ্ঠ।
‘লোকে যারে ভাল বলে ভাল সেই হয়’ তবে ভুল!
আদিম যুগ থেকে ধাপে ধাপে মানুষ সভ্যতার পথে এগিয়ে চলেছে। যত দিন গড়িয়েছে মানুষের জ্ঞানের পরিধি ততই বিস্তৃত হয়েছে। তবে সত্যকে গ্রহণ, স্বীকার করতে এত অনীহা কেন! মানুষের বিদ্যা শিক্ষা-স্তর অতিক্রমে সম্পূর্ণই ব্যর্থ! সম্রাট শাজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল নির্মাণের প্রকৃত উদ্দেশ্য আজ সন্দিহান নয় কি?
যদিও শাস্ত্রে অনেক কথাই বলে, তবুও ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েই যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে দু-ধরণের মানুষের বিভাজন করেই দেন মহাকাল, নকলনবিশ এবং সৃজনশীল। সৃজনশীল মানুষের কীর্তিতেই এগিয়ে চলে সভ্যতা।
No comments:
Post a Comment