বাতায়ন/বিরহ/কবিতা/১ম
বর্ষ/৩০তম সংখ্যা/১১ই ফাল্গুন, ১৪৩০
বিরহ | কবিতা
সুধাংশু চক্রবর্তী
এসো প্রেমকাব্য লেখা শেষ করি
এতকাল আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই
চোখের সামনে ভেসে থাকত এক গোছা রক্তগোলাপ
দিয়েছিলে কোনো এক প্রেমবিবশ মুহূর্তে।
সেই রক্ত রং আর আঁকড়ে ধরে রাখতে পারেনি গোলাপ
চোখের সামনে ভেসে থাকত এক গোছা রক্তগোলাপ
দিয়েছিলে কোনো এক প্রেমবিবশ মুহূর্তে।
সেই রক্ত রং আর আঁকড়ে ধরে রাখতে পারেনি গোলাপ
কালের ছোবলে এতদিনে বিবর্ণ হয়ে গেছে তারা।
কী আশ্চর্য! আমি কিন্তু এক মুহূর্তও কাছ ছাড়া করি না
নিজের সর্বক্ষণের সঙ্গী কালো ছায়াটাকেও, অথচ…
সেদিন তোমার মন কি অযাচিতভাবে রেঙে উঠেছিল
বৈরাগ্যের গেরুয়া বরণে!
তাই বুঝি শুকনো বিবর্ণ পাতার মতো
আমাকেই বৃন্তচ্যুত করে দিলে সেদিনের প্রেমলতাটির
সতেজ শরীর থেকে।
জানো তুমি, সেদিনের সেই ক্ষত আজও বুকে ধারণ করে
নিরন্তর গুটিয়ে চলেছি দুর্ভেদ্য রহস্যের জাল।
একবার বুকে হাত দিয়ে বলবে আমাকে
তোমার মনে কখনো কি এতটুকুও প্রেম না ছিল আমার প্রতি,
না থাকলে রক্তগোলাপ কেন তুলে দিয়েছিলে আমার হাতে
সাক্ষী রেখে সদ্য উন্মোচিত প্রেমকাব্য।
এখনো সময় আছে, ফিরে এসে পূর্ণতা দাও
আমাদের অসমাপ্ত প্রেমকাব্য,
জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত বিরহের কালো চাদর জড়িয়ে গায়ে
তোমারই প্রতীক্ষায় থাকার প্রতিশ্রুতি বুকে ধরে
দাঁড়িয়ে থাকব খোলা জানালায়।
কী আশ্চর্য! আমি কিন্তু এক মুহূর্তও কাছ ছাড়া করি না
নিজের সর্বক্ষণের সঙ্গী কালো ছায়াটাকেও, অথচ…
বৈরাগ্যের গেরুয়া বরণে!
তাই বুঝি শুকনো বিবর্ণ পাতার মতো
আমাকেই বৃন্তচ্যুত করে দিলে সেদিনের প্রেমলতাটির
সতেজ শরীর থেকে।
জানো তুমি, সেদিনের সেই ক্ষত আজও বুকে ধারণ করে
নিরন্তর গুটিয়ে চলেছি দুর্ভেদ্য রহস্যের জাল।
তোমার মনে কখনো কি এতটুকুও প্রেম না ছিল আমার প্রতি,
না থাকলে রক্তগোলাপ কেন তুলে দিয়েছিলে আমার হাতে
সাক্ষী রেখে সদ্য উন্মোচিত প্রেমকাব্য।
আমাদের অসমাপ্ত প্রেমকাব্য,
জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত বিরহের কালো চাদর জড়িয়ে গায়ে
তোমারই প্রতীক্ষায় থাকার প্রতিশ্রুতি বুকে ধরে
দাঁড়িয়ে থাকব খোলা জানালায়।
No comments:
Post a Comment