প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

রং | প্রতিজ্ঞা

  বাতায়ন/ রং /সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/ ৩ ২তম সংখ্যা/ ২৯শে ফাল্গুন ,   ১৪৩১ রং | সম্পাদকীয়   প্রতিজ্ঞা "নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লাল...

Wednesday, February 21, 2024

বিরহ | রশ্মির অপেক্ষা | প্রদীপ কুমার দে

বাতায়ন/বিরহ/ছোটগল্প/১ম বর্ষ/৩০তম সংখ্যা/১১ই ফাল্গুন, ১৪৩০

বিরহ | ছোটগল্প

প্রদীপ কুমার দে

রশ্মির অপেক্ষা


রশ্মি বারান্দা আর ছাড়ে না। বারান্দা ওর খুব প্রিয়। চারতলা বাড়ির একেবারে চারতলার এই বারান্দাই ওর প্রিয়। লাগোয়া ঘরেই ও পড়াশোনা করে। আর পাশেই শোয়ার ঘর। রশ্মি এবারে জয়েন্ট পরীক্ষার পরীক্ষার্থী।

বাবা রতনলাল সাউ। ধনী ব্যবসায়ী। অনেক খরচ করে সল্টলেকে এই বাড়ি তৈরি করে। বউ রুমি আর কাজের লোক এই চারজনে এই বিরাট বাড়িতে থাকে।

রশ্মির বাবা-মা অনেক বুঝিয়েও রশ্মিকে ওপরের চারতলা থেকে নীচে নামাতে পারে না। প্রথম প্রথম তেমন কিছু না ভাবলেও এখন ভাবে। এটা এই গত তিন মাস ধরেই চলছে।

রশ্মি কালো মেঘ দেখলেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। মনে মনে ডাকে ওরে আয়! না মেঘকে নয়, বৃষ্টিকে। বৃষ্টি তার কামনার। বৃষ্টি পড়লেই না- সুহাস আসে! সুহাস এসে তাকে আদর করে। চুমু খায়। জড়িয়ে ধরে, বুকে মাথা দিয়ে উষ্ণতা ছড়ায়, দুজনেই কামনায় উত্তেজিত হলে বিছানায় মিলন সারে। তারপর আরো- আরো আনন্দ…

দুজনেই অনাবৃত শরীরে, বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির জলে ভেজে আর দুজন দুজনকে আদর করে… মেঘ ঘন হয়, বাজ পড়ে, শেষে নামে মুষলধারে বৃষ্টি… কিন্তু… কিন্তু সুহাস আসে না। তিনমাস ধরে রশ্মি অপেক্ষায় আর অপেক্ষায়…

বাড়ির কেউ কিছুই জানে না। সুহাস যে লুকিয়ে আসত! যদিও রশ্মি জানে সুহাস আর কোনোদিনই আসবে না, আসতে পারবে না। চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে সে যে মারা গেছে, তা প্রায় মাস তিনেক আগের ঘটনা! বন্ধু মারফত খবর আসে।

কিন্তু যখন মেঘ জমে, যখন আকাশ ঝেঁপে বৃষ্টি নামে তখন রশ্মি সব ভুলে যায়। স্মৃতি এসে ভিড় জমায় তার মনে আর রশ্মি থাকে সুহাসের অনন্ত অপেক্ষায়…


সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment

মোহিনীমায়া


Popular Top 10 (Last 7 days)