বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০
পূর্বরাগ
| কবিতা
শম্পা সামন্ত
পূর্ব গগন ভরে
পুব হাওয়াতে দোলা লাগে।
এত যে আলোর সকাল।
এত যে উপুর করা আনন্দ, এর মধ্যে একটি সকরুণ ঢেউ আছে উচ্ছ্বাস আছে। আর হৃদয়ের অলিন্দে, নিলয়ে এই আনন্দঘন ঢেউ সঞ্চিত রাখছি হীরকখচিত কৌটোর মধ্যে। যেখানে আমার প্রাণ ভ্রমর অতি যত্নে রাখা আছে। কে ডাকে! কার মুখ মনে পরে বারংবার! কার নাম জপমালা হয়ে উদ্বেল করে সকাল! কার!
সকলেই ভাবতে পারে এই অনুভবের এমনকি আছে? কিন্তু সময়ানুযোগী আনন্দ দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার মতো দক্ষতা আছে।
এত যে উপুর করা আনন্দ, এর মধ্যে একটি সকরুণ ঢেউ আছে উচ্ছ্বাস আছে। আর হৃদয়ের অলিন্দে, নিলয়ে এই আনন্দঘন ঢেউ সঞ্চিত রাখছি হীরকখচিত কৌটোর মধ্যে। যেখানে আমার প্রাণ ভ্রমর অতি যত্নে রাখা আছে। কে ডাকে! কার মুখ মনে পরে বারংবার! কার নাম জপমালা হয়ে উদ্বেল করে সকাল! কার!
সকলেই ভাবতে পারে এই অনুভবের এমনকি আছে? কিন্তু সময়ানুযোগী আনন্দ দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার মতো দক্ষতা আছে।
সময় আছে। পাহাড় পর্বত
চিন্তা আছে।
আর আছে হৃদয়ের গহন বন। যেখানে মাছরাঙা পাখির ঠোঁটে বাঁধা আছে নীল লেফাফা, লেখা আছে গূঢ় সমাচার, কোনো ভিনদেশি পরিব্রাজকের আগমনবারতা। এই সকল বারতা বহন করে নিয়ে গিয়ে ঠিক ঠিক মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যে কী কঠিন সে একমাত্র ভোরের ডাকহরকরাই জানে।
এই নীল খাম লুকিয়ে নিয়ে অতি সন্তর্পণে দাঁড়াই নীল ছাতাওয়ালা আকাশের নীচে, সব কটি চিঠি, সব কটি প্রেমপত্র, সব কটি আগমনবারতা সেঁটে দিই মেঘের গায়ে।
উড়তে উড়তে কেমন তারাও একসময় গতিহীন, বাতাসের সঙ্গে মিশে যেতে থাকে, আমার উজ্জ্বল হাসি, আমার তৃপ্তি ঝুলে থাকে দরগায়।
এই বাদলদিনে কার পায়ের ধ্বনি বুকের ভিতর ঢেউ তোলপাড় করে। নিক্কন বাঁধি, শূন্য গাগরি নিয়ে নূপুরের শব্দ চেপে চেপে কান পেতে থাকি।
অবশেষে সে আসছে।
আর আছে হৃদয়ের গহন বন। যেখানে মাছরাঙা পাখির ঠোঁটে বাঁধা আছে নীল লেফাফা, লেখা আছে গূঢ় সমাচার, কোনো ভিনদেশি পরিব্রাজকের আগমনবারতা। এই সকল বারতা বহন করে নিয়ে গিয়ে ঠিক ঠিক মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যে কী কঠিন সে একমাত্র ভোরের ডাকহরকরাই জানে।
এই নীল খাম লুকিয়ে নিয়ে অতি সন্তর্পণে দাঁড়াই নীল ছাতাওয়ালা আকাশের নীচে, সব কটি চিঠি, সব কটি প্রেমপত্র, সব কটি আগমনবারতা সেঁটে দিই মেঘের গায়ে।
উড়তে উড়তে কেমন তারাও একসময় গতিহীন, বাতাসের সঙ্গে মিশে যেতে থাকে, আমার উজ্জ্বল হাসি, আমার তৃপ্তি ঝুলে থাকে দরগায়।
এই বাদলদিনে কার পায়ের ধ্বনি বুকের ভিতর ঢেউ তোলপাড় করে। নিক্কন বাঁধি, শূন্য গাগরি নিয়ে নূপুরের শব্দ চেপে চেপে কান পেতে থাকি।
অবশেষে সে আসছে।
পরিবেশনায় নূতনত্ব আছে।
ReplyDelete