বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য়
বর্ষ/৩য়/বীথি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা/১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
কবিতাগুচ্ছ
বীথি চট্টোপাধ্যায়
অচেনা
বাইরে কিছু কি বুঝতে পারছে লোকে?
চলছে কতটা অবিরাম ভাঙাগড়া?
যেসব জীবনে পড়িনি কখনও আগে
কতলোক এসে ধরছে সেসব পড়া।
কখনও চাইনি; তাই পাইনিও কিছু
না-পাওয়ার খুব গভীর সুখও তো আছে,
কোন চেতনায় ছিল এতখানি চাওয়া?
মানুষ নিজেকে এতটা না-চিনে বাঁচে?
চেনা না-চেনায় কার ছায়া দেখা যায়?
কোন সে সুদূর অতল নদীর ধারে,
সূর্যের মতো সব চাওয়া ডুবেছিল
চাঁদের আলোর স্তিমিত অন্ধকারে।
দেখে কোনওকিছু বুঝতে পারবে কেউ?
খাদ তার মুখ কুয়াশা-চাদরে ঢাকে,
আবহাওয়া না-জেনে পাহাড়ে বেড়াতে গেলে
পড়ে যাওয়া ছাড়া আর কী উপায় থাকে?
কুয়াশাকে পথ, পথকে কুয়াশা ভেবে
কখনও পড়িনি অতলের এই পড়া;
আবহাওয়া খারাপ, রাস্তাও ভাল নয়—
ভেতরে চলছে অবিরাম ভাঙাগড়া।
চলছে কতটা অবিরাম ভাঙাগড়া?
যেসব জীবনে পড়িনি কখনও আগে
কতলোক এসে ধরছে সেসব পড়া।
না-পাওয়ার খুব গভীর সুখও তো আছে,
কোন চেতনায় ছিল এতখানি চাওয়া?
মানুষ নিজেকে এতটা না-চিনে বাঁচে?
কোন সে সুদূর অতল নদীর ধারে,
সূর্যের মতো সব চাওয়া ডুবেছিল
চাঁদের আলোর স্তিমিত অন্ধকারে।
খাদ তার মুখ কুয়াশা-চাদরে ঢাকে,
আবহাওয়া না-জেনে পাহাড়ে বেড়াতে গেলে
পড়ে যাওয়া ছাড়া আর কী উপায় থাকে?
কখনও পড়িনি অতলের এই পড়া;
আবহাওয়া খারাপ, রাস্তাও ভাল নয়—
ভেতরে চলছে অবিরাম ভাঙাগড়া।
খুব সুন্দর লিখেছেন বন্ধু। মাঝে মাঝে নিজেকে ও নিজের অচেনা মনে হয়।
ReplyDelete