বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/সম্পাদকীয়/২য়
বর্ষ/৩য়/বীথি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা/১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
বীথি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা | সম্পাদকীয়
উল্টোরথ
বিদ্রোহী কবি, প্রেমিক
কবি, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি জানাই অকৃত্রিম
শ্রদ্ধা। তিনি ‘একই বৃন্তে দুটি কুসুম’ দেখেছিলেন। সকলেই তা দেখতে পাচ্ছেন কি?
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর রাখিবন্ধন উৎসবকে কেন্দ্র করে সৌভ্রাতৃত্ববোধের চেতনা জাগ্রত করেছিলেন। আপামর
বাঙালির সৌভাগ্য বাঙালি জাতি তাঁদেরই উত্তরসূরি। যারা ঘটা করে রবীন্দ্রজয়ন্তী, নজরুলজয়ন্তী
পালন করেন কিংবা শান্তিনিকেতন অথবা চুরুলিয়া যান তারা সত্যিই কতজন তাঁদের আদর্শকে সামনে
রেখে পথ চলেন?
যদি দেখতে পেতেন, যদি
তাঁদের জীবনের আদর্শ, বাঙালি জীবনে পাথেয় বলে বিবেচিত হত, তবে কি ধর্মে-ধর্মে জাতিতে-জাতিতে
এত হিংসা, বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ত! কী হিন্দু, কী মুসলমান প্রত্যেকেই নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণে
ব্যস্ত। মানবতা বলে যে একটা শব্দ আছে আজ অভিধান ভুলতে বসেছে।
এ তো গেল সাধারণের কথা,
কিন্তু যারা সারস্বত সাধনা করেন, যখন দেখা যায় তারাও বিদ্বেষেরই ধ্বজাধারী তখন আশ্চর্যের
অবধি থাকে না! যেখানে শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা এ পথে হাঁটেন সেখানে রাজনৈতিক
নেতাদের ভূমিকা নিছকই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়। কূটনীতি তাদের জীবনের মূলমন্ত্র, অতএব ধরে
নেওয়াই যায় তারা এ পথে হাঁটবেনই। সুভাষচন্দ্রের মতো নেতা বিরল।
উল্টোরথের ধর্মীয় আচার
সম্পর্কে সকলেই অবহিত আছেন। কিন্তু ধর্ম বাদ দিয়ে যদি কেউ দেখার চেষ্টা করেন এবং বয়সের
নিরিখে কালের চক্র যদি সত্যিই উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করে নিশ্চয়ই পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ থেকে
সত্তর-আশি বছর বয়সিরা তাতে খুশিই হবেন, তবে যৌবন আগমনের আগে তারা যেতে চাইবেন না। আর
যদি সমাজের, সভ্যতার নিরিখে ভাবা যায়! সে বিবেচনা নিরপেক্ষ সমাজের হাতেই থাক।
চমৎকার মননশীল সম্পাদকীয় এবং এই সময়ের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক l
ReplyDeleteআপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, সঙ্গে থাকুন। ভবিষ্যতে নিজের পরিচয়টাও দিন।
Delete