বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য়
বর্ষ/৩য়/বীথি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা/১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
কবিতাগুচ্ছ
বীথি চট্টোপাধ্যায়
জল তর্পণ
দু-চারদিনের ছোট্ট সফর, চলে যাব সব রেখে
কোনও তর্পণ বড়ো হতে পারে চোখের জলের থেকে?
শেষ জলটুকু যেন কেউ পায়, ফুল ও মালার আগে
একটু খাবার পৌঁছতে পারো যেখানে যুদ্ধ লাগে?
জীবনে কখনও কিছুই পায়নি, ধুলোয় লুটিয়ে পড়ে
মায়াভরা হাতে তাকে ছুঁয়ে দিও; একটু সময় করে।
যে বাচ্চাটির ছেঁড়া জামা আর সূর্যের মত হাসি
ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় তাকে যেন ভালবাসি।
বোমা পড়ে যার উড়ে গেল ঘর, তেল আভিভের কাছে
এখন কী হবে? ধ্বংসস্তূপে তার কাছে কেউ আছে?
পথের কুকুর যে বেঁচে রইল খিদে আর অনাদরে
তাকে যেন কেউ একবার থেমে একটু আদর করে।
নতুন কবির নাম বলে দাও যেখানে যেদিকে পারো...
কোথাও না-হোক কয়েকটা দিন মনে থেকে যাবে তারও
ছোট্ট সফর, আলোর গতিতে আয়ুরেখা ছুটে চলে,
তর্পণ যদি করো তবে কোরো দু-ফোঁটা চোখের জলে।
সংক্ষিপ্ত কবি
পরিচিতি
বীথি চট্টোপাধ্যায় নিজস্ব কলমের কণ্ঠস্বরে বাংলা সাহিত্যে চিহ্নিত
কবি ও সাহিত্যিক হিসেবে। ১৯৫৭ সালে ১১ই জুন কলকাতায় জন্ম।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা দিয়ে লেখার সূচনা। তারপর লিখেছেন অজস্র কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রহস্য গল্প, নিবন্ধ। মূলত কবিতার জন্যই অধিকতর পরিচিতি। প্রথম কবিতা প্রকাশিত দেশ পত্রিকায় ১৯৯৫ সালে। ২৫টি কাব্যগ্রন্থের প্রণেতা। সময় এবং মানুষ তাঁর লেখার মূল ভিত্তিভূমি।
প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক।
পেয়েছেন বিশেষ কিছু সম্মান ও পুরস্কার। ২০১৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত। এছাড়াও ‘ভারত নির্মাণ পুরস্কার’, ‘প্রমা পুরস্কার’ ইত্যাদি।
আমেরিকার বঙ্গসম্মেলনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বারবার আমন্ত্রিত হয়েছেন কবিতার জন্য।
পত্রভারতী থেকে প্রথম উপন্যাস ‘এই বসন্তে’। এরপর প্রকাশিত রূপোর ক্রুশ, যাচ্ছি দেশ-দুনিয়া, একটুকরো মেঘ, চোখের বালি, কুপ্রস্তাব ও নষ্টামি।
শিশুদের জন্যও তাঁর কলম থেমে থাকেনি। পত্রভারতী প্রকাশনী থেকে ‘সাধনা স্মৃতি সম্মান’-এ সম্মানিত।
আকাঙ্ক্ষিত পছন্দ ভ্রমণ ও প্রকৃতি।
কোনও তর্পণ বড়ো হতে পারে চোখের জলের থেকে?
একটু খাবার পৌঁছতে পারো যেখানে যুদ্ধ লাগে?
মায়াভরা হাতে তাকে ছুঁয়ে দিও; একটু সময় করে।
ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় তাকে যেন ভালবাসি।
এখন কী হবে? ধ্বংসস্তূপে তার কাছে কেউ আছে?
তাকে যেন কেউ একবার থেমে একটু আদর করে।
কোথাও না-হোক কয়েকটা দিন মনে থেকে যাবে তারও
তর্পণ যদি করো তবে কোরো দু-ফোঁটা চোখের জলে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা দিয়ে লেখার সূচনা। তারপর লিখেছেন অজস্র কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রহস্য গল্প, নিবন্ধ। মূলত কবিতার জন্যই অধিকতর পরিচিতি। প্রথম কবিতা প্রকাশিত দেশ পত্রিকায় ১৯৯৫ সালে। ২৫টি কাব্যগ্রন্থের প্রণেতা। সময় এবং মানুষ তাঁর লেখার মূল ভিত্তিভূমি।
প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক।
পেয়েছেন বিশেষ কিছু সম্মান ও পুরস্কার। ২০১৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত। এছাড়াও ‘ভারত নির্মাণ পুরস্কার’, ‘প্রমা পুরস্কার’ ইত্যাদি।
আমেরিকার বঙ্গসম্মেলনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বারবার আমন্ত্রিত হয়েছেন কবিতার জন্য।
পত্রভারতী থেকে প্রথম উপন্যাস ‘এই বসন্তে’। এরপর প্রকাশিত রূপোর ক্রুশ, যাচ্ছি দেশ-দুনিয়া, একটুকরো মেঘ, চোখের বালি, কুপ্রস্তাব ও নষ্টামি।
শিশুদের জন্যও তাঁর কলম থেমে থাকেনি। পত্রভারতী প্রকাশনী থেকে ‘সাধনা স্মৃতি সম্মান’-এ সম্মানিত।
আকাঙ্ক্ষিত পছন্দ ভ্রমণ ও প্রকৃতি।
খুব ভাল লেখা
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল প্রীতি সান্যাল
ReplyDeleteখুব সুন্দর লেখা।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল। সায়ন তালুকদার।
ReplyDeleteমন ছুঁয়ে গেলো
ReplyDeleteখুব ভালো লেখা 🙏❤️
ReplyDelete