বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য়
বর্ষ/৩য়/বীথি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা/১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
কবিতাগুচ্ছ
বীথি চট্টোপাধ্যায়
কবির ছুটি
বর্ষা স্পর্শ এখনও আকাশ জুড়ে
শরতের আলো ফুটতে অনেক দেরি,
এবার শরৎ আসার আগেই বুঝি
অকূলসিন্ধু পারে চলে যাবে ফেরি।
গায়ে চাপা দেওয়া, খাটে আধশোয়া কবি
জোড়াসাঁকো যেন থমথমে নীরবতা
কে আমি? এলাম কোথা থেকে? কার ডাকে?
এখন কোথায় রওনা হবার কথা?
কে লিখল এত? কে গেল শিলাইদহ?
এত প্রেম ছিল হৃদয়ে অতল হয়ে?
বিক্ষোভ রাগ অভিমান অভিযোগ
পদ্মার জলে ঢেউ হয়ে যায় বয়ে।
গঙ্গার তীরে সব দিয়ে দিতে হবে
কে কাকে পাঠায় ক-দিনের ছুটি দিয়ে?
শরতের আগে ফুরোবে কবির ছুটি
রোগশয্যায় ভগ্ন হৃদয় নিয়ে।
ছেলেবেলা সেই কুস্তি লড়ার ভোর
ছাদের ওপর আবছা কাদম্বরী;
পদ্মার তীরে বিন্দু বিন্দু গ্রাম
ঢেউ ভেঙে যেন এগোয় জীবন তরী৷
বালকের সেই প্রথমদিকের লেখা
বক্তৃতা দেওয়া চাবুকের মতো ভাষা,
আশ্রম খুলে কত ধার, কত দেনা
যাত্রী সবাই, শুধু যাওয়া শুধু আসা।
এবার শরতে অপূর্ব আলোছায়া
ফাঁকা পালঙ্ক, টেবিলে চশমা ঘড়ি,
ছবির ওপর ফুলমালা চন্দন...
ঢেউ ভেঙে যেন এগোয় জীবনতরী।
শরতের আলো ফুটতে অনেক দেরি,
এবার শরৎ আসার আগেই বুঝি
অকূলসিন্ধু পারে চলে যাবে ফেরি।
জোড়াসাঁকো যেন থমথমে নীরবতা
কে আমি? এলাম কোথা থেকে? কার ডাকে?
এখন কোথায় রওনা হবার কথা?
এত প্রেম ছিল হৃদয়ে অতল হয়ে?
বিক্ষোভ রাগ অভিমান অভিযোগ
পদ্মার জলে ঢেউ হয়ে যায় বয়ে।
কে কাকে পাঠায় ক-দিনের ছুটি দিয়ে?
শরতের আগে ফুরোবে কবির ছুটি
রোগশয্যায় ভগ্ন হৃদয় নিয়ে।
ছাদের ওপর আবছা কাদম্বরী;
পদ্মার তীরে বিন্দু বিন্দু গ্রাম
ঢেউ ভেঙে যেন এগোয় জীবন তরী৷
বক্তৃতা দেওয়া চাবুকের মতো ভাষা,
আশ্রম খুলে কত ধার, কত দেনা
যাত্রী সবাই, শুধু যাওয়া শুধু আসা।
ফাঁকা পালঙ্ক, টেবিলে চশমা ঘড়ি,
ছবির ওপর ফুলমালা চন্দন...
ঢেউ ভেঙে যেন এগোয় জীবনতরী।
No comments:
Post a Comment