বাতায়ন/হাপিত্যেশ/কবিতা/২য়
বর্ষ/৫ম সংখ্যা/৩২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
হাপিত্যেশ | কবিতা
ব্রততী পাল
এবং বরষা
বর্ষাও ঠিক প্রেমিকার
মতো অধরা, কঞ্জুস!
গ্রীষ্মকালের কাঠফাটা ঠোঁট, আকুতি শোনে কি নারী?
শুষ্ক ধরা, রিক্ত হৃদয়ে উজান তোলো গো রাণী
গ্রীষ্মকালের কাঠফাটা ঠোঁট, আকুতি শোনে কি নারী?
শুষ্ক ধরা, রিক্ত হৃদয়ে উজান তোলো গো রাণী
আকন্ঠ পানে জুড়োক
গ্রীষ্ম, জুড়োক প্রেমিকের মন৷
থমথমে দিন, উষ্ণ নিশার অনেক না বলা কথা -
আলিঙ্গনের অলীক স্বপ্নে মাথা কোটে গাছপালা
মুঠো ফোনে ছবি, রিক্ত করবী, মদিরনয়না নারী৷
শুকনো চারা, মরা গাঙ কাঁদে জলের বিন্দু চেয়ে
ডুকরে মরে প্রেমিক হৃদয় স্পর্শসুখের লোভে।
নিজের হাতে পুঁতেছিল চারা কলডাঙার মাঠে৷
স্বপ্নবিলাসী চারহাত যেদিন মিলেছিল উল্লাসে!
অগ্নিবীণায় শান দিয়ে যায় ক্লান্ত একাকী পথিক!
দূর হাতছানি, খোওয়া চিঠিখানি, মনখারাপের বেলা
পড়ন্ত বিকেলে, পোড়ো বাড়ি দেখে চাতক দৃষ্টি মেলে-
এলোমেলো কথা, কিছুটা প্রাপ্তি, রইলো কিছুটা বাকি
শেষমেশ নামুক কালবৈশাখী, উড়িয়ে গুঁড়িয়ে বাসনা।
না মেলা ভাগশেষে কিছুটা মেকি বাকি আর ফাঁকি
আজ মিলেমিশে জোলো আবেগে আপ্লুত হোক কণ্ঠ।
থমথমে দিন, উষ্ণ নিশার অনেক না বলা কথা -
আলিঙ্গনের অলীক স্বপ্নে মাথা কোটে গাছপালা
মুঠো ফোনে ছবি, রিক্ত করবী, মদিরনয়না নারী৷
শুকনো চারা, মরা গাঙ কাঁদে জলের বিন্দু চেয়ে
ডুকরে মরে প্রেমিক হৃদয় স্পর্শসুখের লোভে।
নিজের হাতে পুঁতেছিল চারা কলডাঙার মাঠে৷
স্বপ্নবিলাসী চারহাত যেদিন মিলেছিল উল্লাসে!
অগ্নিবীণায় শান দিয়ে যায় ক্লান্ত একাকী পথিক!
দূর হাতছানি, খোওয়া চিঠিখানি, মনখারাপের বেলা
পড়ন্ত বিকেলে, পোড়ো বাড়ি দেখে চাতক দৃষ্টি মেলে-
এলোমেলো কথা, কিছুটা প্রাপ্তি, রইলো কিছুটা বাকি
শেষমেশ নামুক কালবৈশাখী, উড়িয়ে গুঁড়িয়ে বাসনা।
না মেলা ভাগশেষে কিছুটা মেকি বাকি আর ফাঁকি
আজ মিলেমিশে জোলো আবেগে আপ্লুত হোক কণ্ঠ।
No comments:
Post a Comment