বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ছোটগল্প/২য়
বর্ষ/৬ষ্ঠ/যশোধরা রায়চৌধুরী সংখ্যা/২১শে আষাঢ়, ১৪৩১
যশোধরা রায়চৌধুরী সংখ্যা | ছোটগল্প
সঙ্ঘমিত্রা দাস
প্ল্যানচেট
"ওনার হাতে খাতা-পেন্সিল। ধীরে ধীরে আহ্বান করা হল কবিকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরের হাওয়া বদল টের পেল সবাই। মোমবাতির শিখা হাওয়া ছাড়াই কাঁপছে, রাজীব জিজ্ঞাসা করল, ‘সুনির্মলবাবু আপনি কি এসেছেন?’"
রাত এগারোটা প্রায়
বিনয়, সুতপা, রাজীব, নবীন চার বন্ধু ফিরছে সিনেমা দেখে। মুডটা অফ সবারই। একদম
বাজে একটা গল্প। ভূতের সিনেমা দেখবে বলে এত উৎসাহ নিয়ে গেছিল কিন্তু একদম নিরাশ
হয়েছে ওরা। একটা জমাটি গল্প নেই, ভূতের নামে শুধু মারপিট, হিংস্রতা। প্রথম মুখ
খুলল বিনয়। আজ দিনটা একদম বাজে গেল রে, এত বাজে
সিনেমাটা, টাকাগুলো নষ্ট হল।
রাজীব গম্ভীর ভাবে জবাব দিল সবই তো কল্পনা, ভূত তো আর নেই, যে যেমন ভাবে ভেবেছে এই
আর কী। সুতপা তেড়ে উঠল। কে বলেছে ভূত নেই, এই যে আমরা হাঁটছি আমাদের আশেপাশে
হয়তো কত অতৃপ্ত আত্মাও হেঁটে চলেছে। ওর কথা শুনে সবাই হোহো করে হেসে উঠল। নবীন
বলল চল তবে আমরাই একদিন ভূতকে ডাকি, মানে প্ল্যানচেট করে কোন আত্মাকে আমাদের সামনে
হাজির করি। কেমন আইডিয়া বল। সবাই একসাথে হ্যাঁ হ্যাঁ করে উঠল।
শুরু হয়ে গেল পরিকল্পনা মাফিক প্ল্যানচেটের উদ্যোগ। রাজুদার চায়ের দোকানে সন্ধেবেলায় বসে সব প্ল্যান-প্রোগ্রাম চলতে থাকল আর ছোটুর ওপর চলল অর্ডারের বন্যা, চা দে ছোটু, কেক দে, বিস্কিট দে, আবার চা দে। ঘরের একটা ব্যবস্থা হয়ে গেল। বিনয়দের দোতলায় ছোট স্টোররুম টাইপের ঘরটায় বসা যাবে। কিন্তু মিডিয়াম কে হবে? কে হতে পারে আত্মার সাথে সংযোগের মাধ্যম?
অবশেষে রাজুদাই বাতলে দিল। খালপাড়ের শেষ প্রান্তে এক টিনের চালার বাড়িতে সত্তর পেরোনো নিরঞ্জন পোদ্দার হতে পারেন মিডিয়াম, এক সময় এসবের চর্চা করতেন উনি। কথামতো কাজ, চারজন চলল ওনাকে রাজি করাতে। ভদ্রলোক বয়সের দোহাই দিয়ে একটু গাঁইগুঁই করলেও রাজি হলেন শেষে। তবে পরের অমাবস্যায় বসা হবে। এই অবধি তো সব ঠিক আছে কিন্তু কাকে মানে কার আত্মাকে ডাকা যায়?
সুতপার আইডিয়া রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল।
‘না-না, ওনারা বহু আগের’, নবীনের না-পসন্দ।
নাম নিয়ে টানাটানি চলল কিছুক্ষণ। শেষে ঠিক হল বিনয়ের পরিচিত এক কবিকে ডাকা হবে। ভদ্রলোক কবিতা নিয়েই কাটিয়ে গেছেন সারাটা জীবন কিন্তু নাম পাননি। একটা বই প্রকাশ পেয়েছিল তার, কিন্তু খুব কম বয়সেই চলে যান ইহলোক ছেড়ে। অনেক কিছু লেখার সাধ থাকলেও পাবলিশার্স পাননি তেমন, মনের ইচ্ছা মনে নিয়েই দেহ রেখেছেন। ঝঞ্ঝাট কম, অনামী সুনির্মল রুদ্রকে ডাকা যাক। শোনা যাক তার অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার কাহিনি।
একে শনিবার তার ওপর অমাবস্যা, এমন এক দিনের সন্ধ্যায় বিনয়ের চিলেকোঠার অন্ধকার ঘরে দুটো মোমবাতির আলোর মাঝে গোল জ্যামিতিক নকশার চারপাশে ওরা চারজন আর মিডিয়াম নিরঞ্জনবাবু। ওনার হাতে খাতা-পেন্সিল। ধীরে ধীরে আহ্বান করা হল কবিকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরের হাওয়া বদল টের পেল সবাই। মোমবাতির শিখা হাওয়া ছাড়াই কাঁপছে, রাজীব জিজ্ঞাসা করল, ‘সুনির্মলবাবু আপনি কি এসেছেন?’
শুরু হয়ে গেল পরিকল্পনা মাফিক প্ল্যানচেটের উদ্যোগ। রাজুদার চায়ের দোকানে সন্ধেবেলায় বসে সব প্ল্যান-প্রোগ্রাম চলতে থাকল আর ছোটুর ওপর চলল অর্ডারের বন্যা, চা দে ছোটু, কেক দে, বিস্কিট দে, আবার চা দে। ঘরের একটা ব্যবস্থা হয়ে গেল। বিনয়দের দোতলায় ছোট স্টোররুম টাইপের ঘরটায় বসা যাবে। কিন্তু মিডিয়াম কে হবে? কে হতে পারে আত্মার সাথে সংযোগের মাধ্যম?
অবশেষে রাজুদাই বাতলে দিল। খালপাড়ের শেষ প্রান্তে এক টিনের চালার বাড়িতে সত্তর পেরোনো নিরঞ্জন পোদ্দার হতে পারেন মিডিয়াম, এক সময় এসবের চর্চা করতেন উনি। কথামতো কাজ, চারজন চলল ওনাকে রাজি করাতে। ভদ্রলোক বয়সের দোহাই দিয়ে একটু গাঁইগুঁই করলেও রাজি হলেন শেষে। তবে পরের অমাবস্যায় বসা হবে। এই অবধি তো সব ঠিক আছে কিন্তু কাকে মানে কার আত্মাকে ডাকা যায়?
সুতপার আইডিয়া রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল।
‘না-না, ওনারা বহু আগের’, নবীনের না-পসন্দ।
নাম নিয়ে টানাটানি চলল কিছুক্ষণ। শেষে ঠিক হল বিনয়ের পরিচিত এক কবিকে ডাকা হবে। ভদ্রলোক কবিতা নিয়েই কাটিয়ে গেছেন সারাটা জীবন কিন্তু নাম পাননি। একটা বই প্রকাশ পেয়েছিল তার, কিন্তু খুব কম বয়সেই চলে যান ইহলোক ছেড়ে। অনেক কিছু লেখার সাধ থাকলেও পাবলিশার্স পাননি তেমন, মনের ইচ্ছা মনে নিয়েই দেহ রেখেছেন। ঝঞ্ঝাট কম, অনামী সুনির্মল রুদ্রকে ডাকা যাক। শোনা যাক তার অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার কাহিনি।
একে শনিবার তার ওপর অমাবস্যা, এমন এক দিনের সন্ধ্যায় বিনয়ের চিলেকোঠার অন্ধকার ঘরে দুটো মোমবাতির আলোর মাঝে গোল জ্যামিতিক নকশার চারপাশে ওরা চারজন আর মিডিয়াম নিরঞ্জনবাবু। ওনার হাতে খাতা-পেন্সিল। ধীরে ধীরে আহ্বান করা হল কবিকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরের হাওয়া বদল টের পেল সবাই। মোমবাতির শিখা হাওয়া ছাড়াই কাঁপছে, রাজীব জিজ্ঞাসা করল, ‘সুনির্মলবাবু আপনি কি এসেছেন?’
কয়েকবার জিজ্ঞা নেই। হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া যেন বয়ে গেল ওদের মাঝখান দিয়ে। মিডিয়াম
খচখচ করে কী যেন লিখল। বিনয় আবার বলল, ‘আপনি আছেন প্রমাণ দিন’। এলো প্রমাণ,
মিডিয়ামের পেন্সিলের আঁচড় লিখল - হ্যাঁ, আছি।
‘আপনার প্রথম কবিতা কোনটা বলুন।’
মিডিয়াম লিখল প্রথম কবিতার নাম যা বিনয় ছাড়া ওদের মধ্যে আর কেউ জানে না।
হ্যাঁ, তিনি এসেছেন।
পরপর কিছু প্রশ্ন, নিরঞ্জনবাবু লিখে চলেছেন উত্তর।
‘আপনার অপূর্ণ ইচ্ছা কী ছিল?’
মিডিয়াম যা লিখল তার কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। এমনভাবে কাটল কিছুক্ষণ। বেশ কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেলেও কিছু অধরা, বোঝার উপায় নেই কী লিখেছেন। মিডিয়াম হঠাৎ পেন্সিল ফেলে জ্ঞান হারালেন। ওরা ঘরের আলো জ্বেলে দিল, প্ল্যানচেট অনেকটা সফল। নিরঞ্জনবাবুকে একটু সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু শেষে খচখচ করে লেখা বেশ কিছু লাইন বোঝাই যাচ্ছে না, কী বলতে চাইলেন কবি সুনির্মল। প্রশ্ন একটা থেকেই গেল।
বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। বিনয়ের শরীরটা ভাল নেই। ওই দিনের পর থেকে যেন অনেক কিছু বদলে গেছে। ঘুমোতে পারে না বিনয়, মনে হয় ঘরের মধ্যে কেউ যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে মাথার উপরে ফ্যানটা খুব জোরে আওয়াজ করে ঘুরতে থাকে, বাইরে গুমোট আবহাওয়া অথচ ঘরের মধ্যে একটা হালকা বাতাস খেলে যাচ্ছে সবসময়। জলের বোতল, টেবিল ল্যাম্প নড়ে উঠছে। তবে কি কবি সুনির্মলের আত্মা রয়ে গেল এ বাড়িতে! উনি কী এখনও কিছু বলতে চান? রাজুদা, ছোটু সবার নজরে পড়েছে বিনয়ের এই পরিবর্তন। চোখ বসে গেছে, দেখে মনে হয় কঠিন অসুখে যেন ভুগছে। অনেক দিন চিৎকার করে বিনয় জিজ্ঞাসা করেছে ঘরে, কেউ কি আছেন?
উত্তর মেলেনি।
সেদিনও ছিল নিকষ কালো এক অমাবস্যার রাত। বিনয়ের শরীর বেশ দুর্বল, একটু তাড়াতাড়ি শুয়েছে ও। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় জানলা খুলে গেল, দরজা ঠকঠক করে একে অপরের গায়ে পড়ছে। বিনয় উঠে বসল খাটের উপর। বাইরে সব শান্ত অথচ ঘরের মধ্যে যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বুকশেলফটা ঠাস করে পড়ল নীচে, বইগুলো সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে একাকার। ফড়ফড় করে পাতা উড়ছে কিছু বইয়ের। কিছু সময় এভাবেই কাটল, আবার সব শান্ত। বিছানা ছেড়ে বুকশেলফটার কাছে এসে বইগুলো একে একে তুলতে থাকে বিনয়। হঠাৎ এক জায়গায় চোখ আটকে গেল। মোটা খাতা, কী এটা? পাণ্ডুলিপি না? হ্যাঁ তাই তো! এখানে কীভাবে এলো, কার এটা? পরপর কয়েকটা পাতা উলটে যায় বিনয়, একটা পাতার নীচে ছোট অক্ষরে লেখা কবির নাম। এত সুনির্মল রুদ্রের লেখা বেশ কিছু কবিতা! হলফ করে বলতে পারে বিনয়, এগুলোর একটাও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু এখানে কীভাবে? মাথার মধ্যে যেন একটা ঝিলিক খেলে যায়। উনি কি তবে এটাই বলতে চেয়েছিলেন? ওনার অপ্রকাশিত কবিতা প্রকাশ পাক ওদের বন্ধুদের হাত ধরে? তাই এত আয়োজন?
পাণ্ডুলিপি হাতে নিয়ে চিৎকার করে ওঠে বিনয়, ‘আপনি আছেন? শুনছেন? আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব আপনার লেখাগুলো প্রকাশ করার। আপনি শুনতে পাচ্ছেন? আছেন যে তার একটা প্রমাণ দিন।’ একটা হালকা নরম শীতল হাওয়া বিনয়ের চোখেমুখে এসে লাগল, ও এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছে। সেই দুর্বলতা যেন কোথাও উধাও হয়ে গেছে। সুনির্মলের উপস্থিতির, তাঁর ইচ্ছের প্রমাণ পেল বিনয়। বাইরে সূর্যের আলো ফুটেছে। ভোর হয়ে এলো। কবির পাণ্ডুলিপি হাতে বুকশেলফটার কাছে দাঁড়িয়ে বিনয়, এখন তো ওর বিরাট একটা দায়িত্ব। কবিতার বইটা প্রকাশ করতেই হবে।
‘আপনার প্রথম কবিতা কোনটা বলুন।’
মিডিয়াম লিখল প্রথম কবিতার নাম যা বিনয় ছাড়া ওদের মধ্যে আর কেউ জানে না।
হ্যাঁ, তিনি এসেছেন।
পরপর কিছু প্রশ্ন, নিরঞ্জনবাবু লিখে চলেছেন উত্তর।
‘আপনার অপূর্ণ ইচ্ছা কী ছিল?’
মিডিয়াম যা লিখল তার কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। এমনভাবে কাটল কিছুক্ষণ। বেশ কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেলেও কিছু অধরা, বোঝার উপায় নেই কী লিখেছেন। মিডিয়াম হঠাৎ পেন্সিল ফেলে জ্ঞান হারালেন। ওরা ঘরের আলো জ্বেলে দিল, প্ল্যানচেট অনেকটা সফল। নিরঞ্জনবাবুকে একটু সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু শেষে খচখচ করে লেখা বেশ কিছু লাইন বোঝাই যাচ্ছে না, কী বলতে চাইলেন কবি সুনির্মল। প্রশ্ন একটা থেকেই গেল।
বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। বিনয়ের শরীরটা ভাল নেই। ওই দিনের পর থেকে যেন অনেক কিছু বদলে গেছে। ঘুমোতে পারে না বিনয়, মনে হয় ঘরের মধ্যে কেউ যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে মাথার উপরে ফ্যানটা খুব জোরে আওয়াজ করে ঘুরতে থাকে, বাইরে গুমোট আবহাওয়া অথচ ঘরের মধ্যে একটা হালকা বাতাস খেলে যাচ্ছে সবসময়। জলের বোতল, টেবিল ল্যাম্প নড়ে উঠছে। তবে কি কবি সুনির্মলের আত্মা রয়ে গেল এ বাড়িতে! উনি কী এখনও কিছু বলতে চান? রাজুদা, ছোটু সবার নজরে পড়েছে বিনয়ের এই পরিবর্তন। চোখ বসে গেছে, দেখে মনে হয় কঠিন অসুখে যেন ভুগছে। অনেক দিন চিৎকার করে বিনয় জিজ্ঞাসা করেছে ঘরে, কেউ কি আছেন?
উত্তর মেলেনি।
সেদিনও ছিল নিকষ কালো এক অমাবস্যার রাত। বিনয়ের শরীর বেশ দুর্বল, একটু তাড়াতাড়ি শুয়েছে ও। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় জানলা খুলে গেল, দরজা ঠকঠক করে একে অপরের গায়ে পড়ছে। বিনয় উঠে বসল খাটের উপর। বাইরে সব শান্ত অথচ ঘরের মধ্যে যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বুকশেলফটা ঠাস করে পড়ল নীচে, বইগুলো সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে একাকার। ফড়ফড় করে পাতা উড়ছে কিছু বইয়ের। কিছু সময় এভাবেই কাটল, আবার সব শান্ত। বিছানা ছেড়ে বুকশেলফটার কাছে এসে বইগুলো একে একে তুলতে থাকে বিনয়। হঠাৎ এক জায়গায় চোখ আটকে গেল। মোটা খাতা, কী এটা? পাণ্ডুলিপি না? হ্যাঁ তাই তো! এখানে কীভাবে এলো, কার এটা? পরপর কয়েকটা পাতা উলটে যায় বিনয়, একটা পাতার নীচে ছোট অক্ষরে লেখা কবির নাম। এত সুনির্মল রুদ্রের লেখা বেশ কিছু কবিতা! হলফ করে বলতে পারে বিনয়, এগুলোর একটাও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু এখানে কীভাবে? মাথার মধ্যে যেন একটা ঝিলিক খেলে যায়। উনি কি তবে এটাই বলতে চেয়েছিলেন? ওনার অপ্রকাশিত কবিতা প্রকাশ পাক ওদের বন্ধুদের হাত ধরে? তাই এত আয়োজন?
পাণ্ডুলিপি হাতে নিয়ে চিৎকার করে ওঠে বিনয়, ‘আপনি আছেন? শুনছেন? আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব আপনার লেখাগুলো প্রকাশ করার। আপনি শুনতে পাচ্ছেন? আছেন যে তার একটা প্রমাণ দিন।’ একটা হালকা নরম শীতল হাওয়া বিনয়ের চোখেমুখে এসে লাগল, ও এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছে। সেই দুর্বলতা যেন কোথাও উধাও হয়ে গেছে। সুনির্মলের উপস্থিতির, তাঁর ইচ্ছের প্রমাণ পেল বিনয়। বাইরে সূর্যের আলো ফুটেছে। ভোর হয়ে এলো। কবির পাণ্ডুলিপি হাতে বুকশেলফটার কাছে দাঁড়িয়ে বিনয়, এখন তো ওর বিরাট একটা দায়িত্ব। কবিতার বইটা প্রকাশ করতেই হবে।
সমাপ্ত
খুব ভালো লাগল।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল, তবে পাণ্ডুলিপির ব্যাপারে আলোকপাত হলে আরও ভালো হতো। - জয়িতা বসাক
ReplyDelete