বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক সংখ্যা/বরষা/কবিতা/২য় বর্ষ/১৪তম/১৪ই ভাদ্র,
১৪৩১
বরষা | কবিতা
দীপক বেরা
এক চিলতে জমি
পেট ভর্তি ভাত খাওয়ার বদলে, কেউ
মাথা চিবিয়ে খায়, ঘিলু খায় রসেবশে
আর—
আগামী নাটকের মুষলপর্ব রচনা করে।
মাথা চিবিয়ে খায়, ঘিলু খায় রসেবশে
আঙিনার গার্হস্থ্য জল পোড়ে, হাওয়া পোড়ে
আমাদের আটপৌরে অন্তর পুড়ে যায়...
অথচ—
একটা নাদুসনুদুস লোভী বেপরোয়া পেট
চর্বচোষ্য খেয়ে ব্যাপকভাবে ফুলে ওঠে ক্রমশ
আমাদের না-পাওয়ার আস্তাকুঁড় ঘেঁটে ঘেঁটে
এ তল্লাটের এক-হতে চাওয়া জমাট একতার
ঘাড় মটকে, মায়াগন্ধ ফুলের মালিকানা ক্রিয়ায়।
একদিন অপরাধের রুমাল কেটে বের করে আনি
ওর শিরা, ধমনীর লালিত রক্তের লোভ-লালসা
আর মাথাভর্তি কূটকৌশলের নকশা।
আছে এক চিলতে জমি,
জমিতে লাঙল দিয়েছি
চেতনার বীজ বুনে ছড়িয়েছি তাতে জৈব সার
মাথা তুলছে গাছ-গাছালি, আগামীর মহাবৃক্ষসারি।
খেলছে কানামাছি,
আমাদের বিষাদ সন্তানেরা
দূর থেকে চেয়ে দেখি—
বুড়ি ছুঁয়ে ফেলেছে ওরা
এখন তারার মতো জ্বলছে ওদের সবার দুটো চোখ
যেন আগুনের ফুলকি!
ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখি— পুড়ে ঝলসে গেছে
সেই ফুলে ফেঁপে ওঠা লোভী পেটের নাড়িভুঁড়ি
আর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে শিরা, ধমনী
আর সেই মুষল ষড়যন্ত্রের কূটকৌশলী মাথাটা!
আমাদের আটপৌরে অন্তর পুড়ে যায়...
অথচ—
একটা নাদুসনুদুস লোভী বেপরোয়া পেট
চর্বচোষ্য খেয়ে ব্যাপকভাবে ফুলে ওঠে ক্রমশ
আমাদের না-পাওয়ার আস্তাকুঁড় ঘেঁটে ঘেঁটে
ঘাড় মটকে, মায়াগন্ধ ফুলের মালিকানা ক্রিয়ায়।
ওর শিরা, ধমনীর লালিত রক্তের লোভ-লালসা
মাথা তুলছে গাছ-গাছালি, আগামীর মহাবৃক্ষসারি।
যেন আগুনের ফুলকি!
ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখি— পুড়ে ঝলসে গেছে
সেই ফুলে ফেঁপে ওঠা লোভী পেটের নাড়িভুঁড়ি
আর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে শিরা, ধমনী
মন ছুঁয়ে যাওয়া বলিষ্ঠ কবিতা।
ReplyDeleteআন্তরিক ভালোবাসা ও অশেষ ধন্যবাদ।
Delete