বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক সংখ্যা/বরষা/কবিতা/২য় বর্ষ/১৪তম/১৪ই ভাদ্র,
১৪৩১
কবিতাগুচ্ছ
রাম
বসু
জয়তী
এয়োতির চিহ্ন নিয়ে দিগন্ত তখন বাসর উন্মুখ
তখন আবীর উড়িয়ে অরণ্যের যূথবদ্ধ নাচ
আমার অস্তিত্ব-বীণার অকস্মাৎ মত্ত আলাপ
তবু তোমার দিকে তাকাতে সাহস হয়নি।
তখন আবীর উড়িয়ে অরণ্যের যূথবদ্ধ নাচ
আমার অস্তিত্ব-বীণার অকস্মাৎ মত্ত আলাপ
তবু তোমার দিকে তাকাতে সাহস হয়নি।
ইতিমধ্যে কত নদী মজে গেছে, রিক্ত বনস্পতি
অতীতের নির্জীব অভিযেগে মৌন
অনাবৃষ্টিতে দগ্ধ কত বাড়ন্ত অঙ্কুর
অদৃশ্য বাণে ছিন্নভিন্ন শালিক দু’চোখ।
অতীতের নির্জীব অভিযেগে মৌন
অনাবৃষ্টিতে দগ্ধ কত বাড়ন্ত অঙ্কুর
অদৃশ্য বাণে ছিন্নভিন্ন শালিক দু’চোখ।
কী করে বাঁচলে তুমি?
তুমি কি শিরায় সঞ্চয় করেছ আদিম আগুন
পৃথিবীর অন্ধকার গর্ভ থেকে এনেছ উজ্জীবনের গান
শস্যের প্রান্ত থেকে হরিৎ স্বপ্ন, ছিনিয়ে নিয়েছ
পাখির কণ্ঠ থেকে সুরের সন্মোহন
তাই কি তুমি বিষ-নীল পাঁকে শান্ত শ্বেতপদ্ম?
তুমি কি শিরায় সঞ্চয় করেছ আদিম আগুন
পৃথিবীর অন্ধকার গর্ভ থেকে এনেছ উজ্জীবনের গান
শস্যের প্রান্ত থেকে হরিৎ স্বপ্ন, ছিনিয়ে নিয়েছ
পাখির কণ্ঠ থেকে সুরের সন্মোহন
তাই কি তুমি বিষ-নীল পাঁকে শান্ত শ্বেতপদ্ম?
তোমার দিকে তাকাতে পারিনি
মাথা নিচু করে বললাম
তুমি জয়তী, তুমি বেঁচে থেকো।
মাথা নিচু করে বললাম
তুমি জয়তী, তুমি বেঁচে থেকো।
আমি অসম্পূর্ণ; আমি দূর থেকে দেখি
প্রত্যয়ের তারা তুমি সোহাগা আকাশে
নিচে ফেন-চূড় ঢেউ-এর আঘাতে ক্ষুব্ধ সাগর
আমি ডুবুরী, আমি রুক্ষ নীল শব্দের সাগরে
ডুব দিয়ে যাই; যদি পাই কথার মানিক
এই অপরাজিতা আকাশের তলায়, তবে
শান্ত নম্র গলায় বলব
নাও, জয়তী, আমার ভালোবাসার দান
আমায় ধন্য করো।
প্রত্যয়ের তারা তুমি সোহাগা আকাশে
নিচে ফেন-চূড় ঢেউ-এর আঘাতে ক্ষুব্ধ সাগর
আমি ডুবুরী, আমি রুক্ষ নীল শব্দের সাগরে
ডুব দিয়ে যাই; যদি পাই কথার মানিক
এই অপরাজিতা আকাশের তলায়, তবে
শান্ত নম্র গলায় বলব
নাও, জয়তী, আমার ভালোবাসার দান
আমায় ধন্য করো।
শেষ স্তবক অসামান্য। ওনাকে প্রণাম।এতো সুন্দর শব্দচয়নে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
ReplyDelete