বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য়
বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১
শারদ | কবিতা
মধুপর্ণা বসু
আর কবে?
শব্দেরা থমকে আছে অবসন্ন ঠোঁটের আগায়,
এক অসহ্য আত্মগ্লানি এযাবৎ সনাক্ত করছি।
সেখানে দুহাত দূরত্বে আমার অচৈতন্য মৃতদেহ
সারা শরীরে হাজার দগদগে আঘাত, কদাকার
আমি নিজের এমন এক মরণ কখনো ভাবিনি...
এক অসহ্য আত্মগ্লানি এযাবৎ সনাক্ত করছি।
সেখানে দুহাত দূরত্বে আমার অচৈতন্য মৃতদেহ
সারা শরীরে হাজার দগদগে আঘাত, কদাকার
আমি নিজের এমন এক মরণ কখনো ভাবিনি...
সবুজ ঘাস, ফুল পাতা, গুল্মলতায় অনাবৃত কান্না
আজ এই মৃতবৎ শরীর ঢাকবার কাফন নেই,
উলঙ্গ সব নির্মম সত্যি আর ভয়াবহ নারকীয়তা
ঠান্ডা হিমঘরে অচেতন শুইয়ে দিয়েছে, দেখছি।
কত রঙ্গ, ছেনালপনা নটনৃত্য প্রকাশ্যে দুষ্টচক্রে,
হতবাক হয়েছি এই নগণ্য শরীরের খুঁটিনাটিতে
মহার্ঘ্য যত শয়তানের হুঙ্কার, যারা চেটেপুটে খায়
রক্ত রস, মাংস মজ্জা আরও তীব্রতম সত্যিগুলো।
ছি ছি! কী পূতিগন্ধ দুপেয়ে জান্তব, কী বীভৎস খিদে!
এইসব কীটস্য মানুষ আর তাদের সীমাহীন লোভ,
শুধু শরীর নয়, নয় মানুষ, শবও ককিয়ে ওঠে
আমিও করছি আর্তনাদ! আর কবে? আর কত?
আর কত ডুববে বিষাদ? কত আঁধার নামবে আর
মরে যাওয়া দেহ থেকে জ্বলে উঠবে দাবানল আবার?
আজ এই মৃতবৎ শরীর ঢাকবার কাফন নেই,
উলঙ্গ সব নির্মম সত্যি আর ভয়াবহ নারকীয়তা
ঠান্ডা হিমঘরে অচেতন শুইয়ে দিয়েছে, দেখছি।
কত রঙ্গ, ছেনালপনা নটনৃত্য প্রকাশ্যে দুষ্টচক্রে,
হতবাক হয়েছি এই নগণ্য শরীরের খুঁটিনাটিতে
মহার্ঘ্য যত শয়তানের হুঙ্কার, যারা চেটেপুটে খায়
রক্ত রস, মাংস মজ্জা আরও তীব্রতম সত্যিগুলো।
ছি ছি! কী পূতিগন্ধ দুপেয়ে জান্তব, কী বীভৎস খিদে!
এইসব কীটস্য মানুষ আর তাদের সীমাহীন লোভ,
শুধু শরীর নয়, নয় মানুষ, শবও ককিয়ে ওঠে
আমিও করছি আর্তনাদ! আর কবে? আর কত?
আর কত ডুববে বিষাদ? কত আঁধার নামবে আর
মরে যাওয়া দেহ থেকে জ্বলে উঠবে দাবানল আবার?
অপূর্ব সুন্দর
ReplyDelete