বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/সম্পাদকীয়/২য়
বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১
শারদ | সম্পাদকীয়
দুর্বৃত্ত সাবধান
"আগমনীর আগমন আসন্ন। বোধন হতে দেরি নেই আর। জনগণ বিশ্বাস রাখেন অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা দেবী করবেনই। পুরাণ মতে দেবী দুর্গা দানবদলন করেছিলেন। বর্তমান যুগে দেবী নিজে হাতে তা না করলেও সাধারণ মানুষের হাতে সে অধিকার তুলে দিলে তবেই তাঁর আগমনের, আরাধনার প্রকৃত সার্থকতা।"
নরনারায়ণ জাগ্রত আজ, নরপিশাচের পৈশাচিক
উল্লাস মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। নরনারী নির্বিশেষে গলি থেকে রাজপথ, গ্রাম থেকে শহর,
রাজ্য থেকে দেশ হয়ে বিদেশেও হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদে সামিল। ধৈর্যের পরীক্ষায়, শান্তিপূর্ণ
বিক্ষোভ-প্রতিবাদে তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
সবে শুরু, আশা করা যায় নৃশংস পরিস্থিতির
শেষ না দেখে তারা থামবেন না। বাংলার মাটিকে দুর্বৃত্তের ঘাঁটি হতে দিতে তারা নারাজ।
দুর্বৃত্ত সাবধান।
কালের চক্রে এই পরিস্থিতিতেই শরৎকাল
এসে গেছে। শরতের হাত ধরে শারদ উৎসবও হাজির। তারা পণ করেছেন উৎসবে সামিল হলেও প্রতিবাদী
পথ ছাড়বেন না। এ-যে শুধুমাত্র আবেগ, কথার কথা নয় তার নিদর্শন দিকে দিকে প্রতিধ্বনিত।
আগমনীর আগমন আসন্ন। বোধন হতে দেরি
নেই আর। জনগণ বিশ্বাস রাখেন অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা দেবী করবেনই।
পুরাণ মতে দেবী দুর্গা দানবদলন করেছিলেন। বর্তমান যুগে দেবী নিজে হাতে তা না করলেও
সাধারণ মানুষের হাতে সে অধিকার তুলে দিলে তবেই তাঁর আগমনের, আরাধনার প্রকৃত সার্থকতা।
বিনোদন মানুষের জীবনে প্রয়োজন। উৎসব,
বিনোদন ছাড়া গোষ্ঠীবদ্ধ জীব মানুষ থাকতে পারেন না। যে-কোন বুদ্ধিমান মাত্রেই তা বিলক্ষণ
জানেন, তা তিনি সমাজের যে স্তরেই বিচরণ করুন না কেন। এবং ক্ষমতার শীর্ষে যে বা যারা
থাকেন তাদের দায়িত্ব শতগুণ বেশি। এখন বুদ্ধিসম্পন্ন, ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ সেই বুদ্ধি
সু অথবা কু কার্যে পর্যবসিত করবেন, তা নির্ধারণ করবে তাদের বিবেক, বিবেচনাবোধ।
মানুষ কিন্তু শেষপর্যন্ত শান্তিতে
বাঁচতেই চায়, নিতান্ত নাচার না হলে।
দেবীর আগমনের সাথে সাথে শান্তি আসুক এই ধরায়। আমরা মানুষ, শান্তিতে বাঁচতে চাই
ReplyDeleteঅবশ্যই।
Deleteসুন্দর দুঃসাহস! ভঙ্ককরী অথচ মেদুর প্রচ্ছদ। গোটাটা পড়ার অপেক্ষায়।
ReplyDeleteপড়ে ফেলুন বন্ধু।
Delete