বাতায়ন/মাসিক/গল্পাণু/২য়
বর্ষ/১৮তম সংখ্যা/২৩শে কার্ত্তিক, ১৪৩১
চৈতালী চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা | গল্পাণু
মহুয়া
গাঙ্গুলী
সূক্ষ্ম চেতনা
"অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যত সবটাই চাকার মতো ঘূর্ণাবর্ত্তে আবদ্ধ... সম্পর্কে সমর্পণের সুখটাই যে বাঁধন... সেটা ঐ দুজোড়া ঝাপসা চোখে অনুভূত। একটু একটু করে রুদ্র আর অরু ভাঙতে ভাঙতে বুঝি অনুভবের কালান্তরে... ইগো কী ভীষণ এক ভাইরাস! শুধু ভাঙতেই পারে..."
বলি আর
কতবার বলব? বেশ মেজাজে রুদ্র, আড়চোখের চাহনি যেন কী খুঁজছে… অরু ওর প্রাক্তনী একটু দূরে। স্বভাবটি ওর পরিচিত, এক অভ্যেস তাই নির্নিমেষ লেশহীন দৃষ্টি— বৃষ্টি দেখে জানলার কার্নিশের অবিরাম বৃষ্টির কাহন সুরে... হ্যাঁ এবার বুঝি রুদ্র
নিয়মমাফিক নিজের
লাইটার নিজের পকেট থেকেই উদ্ধার করল; বেশ এক বিরক্ত ভাবে বলে উঠল... উফ্
একই রয়ে গেলে অরু সেই ভাবলেশহীন!
অরুর ঠোঁটে দুটো শব্দ... ভাব ভাবনায়...
আচমকা রুদ্রর গমগমে সেই নিনাদ বাক্যি... হ্যাঁ ভাব...
অরু উদাসভাবে বলে ওঠে, এখন তো আমরা নিঃস্ব... সেগুলো এখন অতীত... রুদ্রর ঐ ঝাপসা হয়ে আসা চশমার কাচের আড়ালে চকচকে গভীর দুটো চোখ... সিগারেটের ধোঁয়ার কুন্ডলী দলা পাকিয়ে জানলার বাইরে আর ভিতরের তিক্ততার বারুদ দীর্ঘশ্বাসে…
দূরত্ব শুধুমাত্র দুটো মনকে আজ আবিষ্কারের জানালায় খুলে রেখে কথা বলতে চাইছে... ওরা কেন পারল না ভালবাসায় রোজ থাকতে!
অরু উদাসভাবে ঝাপসা হওয়া চশমার রিমে হাত রাখতে গিয়ে নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হলো, ঘোলাটে চশমা...
একটা দোটানার ভার বুঝি সারাজীবন বইতে হবে এভাবেই... স্মৃতি বিস্মৃতি হওয়া সহজ নয় সে ওরা দুজনেই জানে... তবু প্রথম আর শেষ দুটো যে মেলে না...
যে প্রথম পরিচয়ে ছিল এক ভীষণ অনু্প্রেরণা... একজন ডেডিকেটেড ব্যক্তিত্ব একে অপরের দ্রষ্টা... কোথাও যেন অরু উজ্জ্বল মধ্যমাতে তখন... একটা রেষারেষির তাগিদে ক্লান্ত বড়ই শ্রান্ত হয়ে পড়েছিল রুদ্র... গোছানো যাবতীয় সবকিছু লন্ডভন্ড; শেষে যেন ভুল ভাঙার মতো এলোমেলো... রুদ্র তখন প্রখর তপন হয়ে শুধুই এক তাপমান পৌরুষ বোধে আচ্ছন্ন... এখন অবসরে দূরত্ব যেন শিখিয়ে নিল কম্প্রোমাইজের মাহাত্ম। ভালোবাসলে যে হারতে জানতে হয়... ওইটাই যে ভালবাসায় জয়। অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যত সবটাই চাকার মতো ঘূর্ণাবর্ত্তে আবদ্ধ... সম্পর্কে সমর্পণের সুখটাই যে বাঁধন... সেটা ঐ দুজোড়া ঝাপসা চোখে অনুভূত। একটু একটু করে রুদ্র আর অরু ভাঙতে ভাঙতে বুঝি অনুভবের কালান্তরে... ইগো কী ভীষণ এক ভাইরাস! শুধু ভাঙতেই পারে...
অরুর ঠোঁটে দুটো শব্দ... ভাব ভাবনায়...
আচমকা রুদ্রর গমগমে সেই নিনাদ বাক্যি... হ্যাঁ ভাব...
অরু উদাসভাবে বলে ওঠে, এখন তো আমরা নিঃস্ব... সেগুলো এখন অতীত... রুদ্রর ঐ ঝাপসা হয়ে আসা চশমার কাচের আড়ালে চকচকে গভীর দুটো চোখ... সিগারেটের ধোঁয়ার কুন্ডলী দলা পাকিয়ে জানলার বাইরে আর ভিতরের তিক্ততার বারুদ দীর্ঘশ্বাসে…
দূরত্ব শুধুমাত্র দুটো মনকে আজ আবিষ্কারের জানালায় খুলে রেখে কথা বলতে চাইছে... ওরা কেন পারল না ভালবাসায় রোজ থাকতে!
অরু উদাসভাবে ঝাপসা হওয়া চশমার রিমে হাত রাখতে গিয়ে নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হলো, ঘোলাটে চশমা...
একটা দোটানার ভার বুঝি সারাজীবন বইতে হবে এভাবেই... স্মৃতি বিস্মৃতি হওয়া সহজ নয় সে ওরা দুজনেই জানে... তবু প্রথম আর শেষ দুটো যে মেলে না...
যে প্রথম পরিচয়ে ছিল এক ভীষণ অনু্প্রেরণা... একজন ডেডিকেটেড ব্যক্তিত্ব একে অপরের দ্রষ্টা... কোথাও যেন অরু উজ্জ্বল মধ্যমাতে তখন... একটা রেষারেষির তাগিদে ক্লান্ত বড়ই শ্রান্ত হয়ে পড়েছিল রুদ্র... গোছানো যাবতীয় সবকিছু লন্ডভন্ড; শেষে যেন ভুল ভাঙার মতো এলোমেলো... রুদ্র তখন প্রখর তপন হয়ে শুধুই এক তাপমান পৌরুষ বোধে আচ্ছন্ন... এখন অবসরে দূরত্ব যেন শিখিয়ে নিল কম্প্রোমাইজের মাহাত্ম। ভালোবাসলে যে হারতে জানতে হয়... ওইটাই যে ভালবাসায় জয়। অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যত সবটাই চাকার মতো ঘূর্ণাবর্ত্তে আবদ্ধ... সম্পর্কে সমর্পণের সুখটাই যে বাঁধন... সেটা ঐ দুজোড়া ঝাপসা চোখে অনুভূত। একটু একটু করে রুদ্র আর অরু ভাঙতে ভাঙতে বুঝি অনুভবের কালান্তরে... ইগো কী ভীষণ এক ভাইরাস! শুধু ভাঙতেই পারে...
টেবিলে চা বাবু। সম্বিৎ ফিরে পেলো উভয়েই। আজ দুজনের পথ দুদিকে, তবু যেন এটুকু সময় ওদেরকে আজ দুজনকেই দুজনের মুখোমুখি ক্ষমাপ্রার্থী করল...
চুপকথা হয়ে
অনেক কথা বলে গেলো যেন দুজনে... নিয়নের ধোঁয়াশায় মিউজিক প্লেয়ার বলছে... "সুখে
আছে যারা সুখে থাক তারা…"
সমাপ্ত
ভীষণ ভালো লাগলো
ReplyDeleteসুন্দর লেখা
ReplyDeleteভালো লাগলো পড়ে।
ReplyDelete