বাতায়ন/মাসিক/সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
মোহন
রায়হান সংখ্যা | সম্পাদকীয়
চেতনা
"কিন্তু নিজেকে অন্যের থেকে ভাল রাখার বাসনায়, সুপ্ত লোভের কবলে পা দিয়েছেন এবং শিক্ষাকে শেষপর্যন্ত বিদ্যায় পরিণত করেছেন। ফলে চেতনার উন্মেষ ঘটেনি, যা কখনই কাম্য ছিল না।"
হেমন্ত বহমান যদিও অধিকাংশই মানুষের
মনে এবং কলমে। দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে শীত। প্রকৃতি তাতে সাড়া দেবে, কিন্তু মানুষ শেষপর্যন্ত
কতটা উপলব্ধি করতে পারবে! কলকাতা এবং আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশের যে-কোনো বড় শহরে
ক্ষণিকের বেশি তার দেখা মিলবে না।
কেন এমন হল? প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েই
চলেছে অথচ মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে সে দান দখলে রাখতে ব্যর্থ, এমনকি গোটা পৃথিবীকে
ধ্বংসের পথে নিয়ে চলেছে।
অতীতকাল থেকে শিক্ষার, জ্ঞানের প্রচলন। সে গুরুগৃহ হোক বা পরবর্তী কালের স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি হোক। অধিকাংশ
মানুষই অসীম আগ্রহে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু নিজেকে অন্যের থেকে ভাল রাখার বাসনায়,
সুপ্ত লোভের কবলে পা দিয়েছেন এবং শিক্ষাকে শেষপর্যন্ত বিদ্যায় পরিণত করেছেন। ফলে চেতনার
উন্মেষ ঘটেনি, যা কখনই কাম্য ছিল না।
কথায় বলে নিজের ভাল পাগলেও বোঝে, কিন্তু
মানুষ বোঝে না!
ঋদ্ধতার ছোঁয়া। সম্বৃদ্ধ হলাম।
ReplyDeleteআপনাকে ধন্যবাদ জানাই সম্পাদকীয় পড়ার জন্য, তবে নিজের পরিচয় দিলে ভালো লাগত। আশা রাখি ভবিষ্যতে পরিচয়টুকুও দেবেন। সঙ্গে থাকুন।
Deleteঋদ্ধ হলাম
ReplyDeleteপরাণ মাঝি
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সঙ্গে থাকুন।
Deleteখুব ভালো লাগল বাতায়নের এই সংখ্যার সম্পাদকীয়তে 'চেতনা' বিষয়ক আলোকপাত, যা এই সময়ের প্রাসঙ্গিকতাকে নির্দেশ করে যায়। শিক্ষাকে বিদ্যার আবরণে সাজিয়েছি শুধু, আচরণে প্রতিফলিত করে উঠতে পারিনি। শিক্ষার আত্তীকরণ না হলে চেতনার উন্মেষ ঘটে না।
ReplyDeleteএকদমই তাই। এ আমরা কোথায় চলেছি!
Deleteবাতায়নের এই সংখ্যার সম্পাদকীয়তে চেতনা বিষয়ক আলোচনাটি খুব ভালো লাগল, যা এই সময়ের প্রাসঙ্গিকতাকে সূক্ষ্মভাবে নির্দেশ করে। আমরা শিক্ষাকে বিদ্যার আবরণে সাজিয়েছি শুধু, আচরণে প্রতিফলিত করে উঠতে পারিনি। শিক্ষার আত্তীকরণ না হলে চেতনার সেই উন্মেষ ঘটে না কখনো।
ReplyDeleteঠিক। তবুও আমরা চলেইছি।
Deleteখুব সুন্দর সম্পাদকীয়
ReplyDeleteধন্যবাদ বন্ধু।
Deleteসম্পাদকীয় অতি সুন্দর! লোভসংবরন করা খুবই কঠিন!
ReplyDeleteশম্ভুনাথ মন্ডল
মানুষ যদি সত্যিই বুঝতেন।
Delete