বাতায়ন/রং/কবিতাণু/২য় বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৯শে
ফাল্গুন, ১৪৩১
রং | কবিতাণু
দেবযানী মহাপাত্র
বসন্ত ও অন্যান্য
বসন্ত
বসন্তের
কুয়াশা অতিথির মতো
আচ্ছন্ন করে রাখে পাতা।
কুন্ঠিত হয় অরণ্যের ছায়া।
প্রকৃতির নিয়ম মেনে যখন
একটু একটু ধূসর হয় সবুজ,
বাসস্থান-সঙ্কটে উড়ে যায় পাখি, পতঙ্গ
প্রতিটি গাছ যথারীতি নিঃসঙ্গ ও অবুঝ।
প্রতিবিম্ব
কোনো কোনো
দিন স্বপ্নগুলো
প্রচলিত পথ দিয়ে ফিরে আসে না।
নিজেকে সেঁধিয়ে দেয় ব্যক্তিগত দুঃখ ঘরের ভেতর।
বাপঠাকুরদার আমলের আসবাবপত্রের ধুলো জড়িয়ে নিয়ে
প্রতিবিম্বের মুখোমুখি হয়
স্পষ্ট করে নিজের পছন্দের মাটি বর্ণ
তারপর ফিরতে
থাকে...
উৎসব
উৎসবের দিন
পেরিয়ে গেলে
বিবর্ণ হয়ে যায় আলো, সাজ, সুন্দর
বাদবাকি যা পড়ে থাকে অনাড়ম্বর;
বাঁচিয়ে
রাখে আগামী।
সেটুকুই ঈশ্বর।
অন্ধ
নিড়ানোর দিন
শেষ হলে
বিগত বৃষ্টিজন্ম প্রকট হয়
সব কেমন অলৌকিক হয়ে যায়
স্নিগ্ধ সাদা
সেই স্নিগ্ধতা ধাঁধিয়ে দেয় চোখ
মেঘ তো সমর্পিত বর্ণান্ধ;
রং চিনতে ভুল করে বারংবার।
রং | কবিতাণু
দেবযানী মহাপাত্র
আচ্ছন্ন করে রাখে পাতা।
কুন্ঠিত হয় অরণ্যের ছায়া।
প্রকৃতির নিয়ম মেনে যখন
একটু একটু ধূসর হয় সবুজ,
বাসস্থান-সঙ্কটে উড়ে যায় পাখি, পতঙ্গ
প্রতিটি গাছ যথারীতি নিঃসঙ্গ ও অবুঝ।
প্রচলিত পথ দিয়ে ফিরে আসে না।
নিজেকে সেঁধিয়ে দেয় ব্যক্তিগত দুঃখ ঘরের ভেতর।
বাপঠাকুরদার আমলের আসবাবপত্রের ধুলো জড়িয়ে নিয়ে
প্রতিবিম্বের মুখোমুখি হয়
স্পষ্ট করে নিজের পছন্দের মাটি বর্ণ
বিবর্ণ হয়ে যায় আলো, সাজ, সুন্দর
বাদবাকি যা পড়ে থাকে অনাড়ম্বর;
সেটুকুই ঈশ্বর।
বিগত বৃষ্টিজন্ম প্রকট হয়
সব কেমন অলৌকিক হয়ে যায়
স্নিগ্ধ সাদা
সেই স্নিগ্ধতা ধাঁধিয়ে দেয় চোখ
মেঘ তো সমর্পিত বর্ণান্ধ;
No comments:
Post a Comment