বাতায়ন/রং/গল্পাণু/২য় বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৯শে
ফাল্গুন, ১৪৩১
রং | গল্পাণু
কমলকুমার
মণ্ডল
ফিকে
রং
"রূপাঞ্জনের হাতের রক্ত পলাশের মালা এগিয়ে যাচ্ছে নীলাদ্রির দিকে। বসন্তের পড়ন্ত বিকেলে বন্ধুদের করতালি আর পলাশে মোহিত ওরা দুজন শপথ নেয় একসাথে পথ চলার।"
সেদিন বন্ধুরা মিলে পলাশবনে
পিকনিকের আমেজে। দৃষ্টিসীমায় শুধু রক্তপলাশ। শহরের কংক্রিটের জঙ্গলে থেকে হাঁপিয়ে ওঠা
জীবনে এক মরূদ্যান। মনের জানালায় বসন্ত যেন খিলখিলিয়ে
হাসছে।
সৌজন্য আর রূপাঞ্জনা দলছুট
হয়ে অনেকটা দূরে পলাশ রঙে রাঙিয়ে নিচ্ছে দুজনে। কলেজের প্রথম দিন থেকেই দুজনের
বন্ধুত্ব বেশ গভীর। রূপাঞ্জনা সৌজন্যকে কিছু একটা বলতে চেষ্টা করে কিন্তু শেষ
পর্যন্ত বলে উঠতে পারে না।
দুপুর গড়িয়ে বিকেলের
ক্লান্ত রোদ পলাশভূমে এক মায়াবী স্বর্গ রচনা করেছে। পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্য বলছে
ওরে পাখি এবার ফিরতে হবে।
রূপাঞ্জনের হাতের রক্ত পলাশের
মালা এগিয়ে যাচ্ছে নীলাদ্রির দিকে। বসন্তের পড়ন্ত বিকেলে বন্ধুদের করতালি আর
পলাশে মোহিত ওরা দুজন শপথ নেয় একসাথে পথ চলার।
কিছুটা দূরে সৌজন্যর বসন্তের
রং ফিকে হয়ে আসে। নিজেকে বড্ড বেমানান মনে হয়। বিক্ষিপ্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা
ফিকে পলাশের পাপড়িতে নিজেকে খুঁজে পায়।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment