বাতায়ন/শারদ/কবিতা/৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন, ১৪৩২
শারদ | কবিতা
জাকিয়া রহমান
সেদিনও আকাশে ছিল এমন শুভ্র
পলকা মেঘ,
নীলাকাশের বুকে উড়ে উড়ে
জানাচ্ছিল শরতের সম্ভাষণ।
মনে হল, যাচ্ছে ভেসে কোন অজানার দেশে-
তোমার আমার মনের যত কবিতার ছন্দ তালে,
যেথায় আমরা দুজন অতি
নির্ভরতায় চলতে চাই জীবন পথে।
তখন আমার অনুভবে ছিল সুগন্ধ ভরা মিষ্টি বাতাসের পরশ,
দূরে হয়তো ফুটেছিল মাধবীর
প্রথম ফুল।
দুজনে পাশাপাশি চলছিলাম হেঁটে-
পদ্ম, শালুক আর শাপলার মোহিত নিবাসে,
জলের উপর বয়ে যাওয়া থির থির
স্রোত দেখে,
মনে হয়েছিল, এ যেন আমার বুকের ভিতরে আশার স্পন্দন।
দোলনচাঁপা, বেলি ও জারুলের পুলকিত সুবাস,
এনেছিল আগামী দিনের এক
বিশ্বাসের মুগ্ধতা-
মনে বুনে দিয়েছিল স্বপ্নের পথে এক সাথে চলার অভিলাষ।
গ্রীষ্মের প্রতাপে ঝিমিয়ে পড়া শ্যামলী,
বৃষ্টির জল ছোঁয়ায় হয়ে
উঠেছিল সজীব-
যেন তোমার আমার ভাল লাগার অঙ্গীকার।
সেদিনের গড়ে ওঠা আমাদের মনের নিবাসে-
ছিল শরতের শিশিরে সিক্ত শেফালির আকুলতা।
মিনতি করেছিল, তোমার পরিফুষ্টিত প্রেমের অধীরতার আলিঙ্গন,
শরতের কাছে গ্রীষ্মের দাবদাহে
জ্বলা বাংলার মাটির মতন।
শারদ | কবিতা
জাকিয়া রহমান
শরতের সম্ভাষণে
মনে হল, যাচ্ছে ভেসে কোন অজানার দেশে-
তোমার আমার মনের যত কবিতার ছন্দ তালে,
তখন আমার অনুভবে ছিল সুগন্ধ ভরা মিষ্টি বাতাসের পরশ,
দুজনে পাশাপাশি চলছিলাম হেঁটে-
পদ্ম, শালুক আর শাপলার মোহিত নিবাসে,
দোলনচাঁপা, বেলি ও জারুলের পুলকিত সুবাস,
মনে বুনে দিয়েছিল স্বপ্নের পথে এক সাথে চলার অভিলাষ।
গ্রীষ্মের প্রতাপে ঝিমিয়ে পড়া শ্যামলী,
যেন তোমার আমার ভাল লাগার অঙ্গীকার।
সেদিনের গড়ে ওঠা আমাদের মনের নিবাসে-
ছিল শরতের শিশিরে সিক্ত শেফালির আকুলতা।
মিনতি করেছিল, তোমার পরিফুষ্টিত প্রেমের অধীরতার আলিঙ্গন,
আমি কৃতজ্ঞ কবিতাটি প্রকাশ করার জন্যে।
ReplyDelete