ঘুমকে তিস্তা
প্রিয় ঘুম,
আমি পাহাড় ছেড়ে সমতলে পা বাড়ালাম। চিন্তা নেই আর কখনো আমাদের দেখা হবে না।
তোমার বাঁশিটা আমি আমার দিদির কাছে রেখে গেলাম, ওটা ছোট ঘরের ডানদিকের আলমারির উপরে হলুদ বাক্সটায় যত্ন করে রাখা আছে। যেতে যেতে সব খোলামকুচি ইচ্ছেগুলো ফেলে ফেলে যাচ্ছি খরস্রোতার জলে।
দেখছি ঘুম স্টেশনে মেঘেরা ঘুমোচ্ছে ভীরু খরগোশের মতো। কোথায় যাচ্ছি বলব না। চিঠিও দেব না ভুল করে। আমি সঙ্গে করে কিছু ম্যাগনোলিয়ার বীজ নিয়ে যাচ্ছি। ঐ সেই গাছটা গো, যার নীচে আমরা দুজনে অনেক জ্যোৎস্নার সন্ধে ও মোলায়েম ভোর কাটিয়েছি সুরের ঘোরে, হাতের উপর হাত দিয়ে। জানি না ওখানে গাছ হবে কী না? ফুল ফুটবে কী না? আবহাওয়া তো বদলে যাবে। জানো আমারও মনের ঋতুরা বড় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। হলুদ পাতার মতোই তুমি আমায় ভুলে যেও, তাই তো চেয়েছিলে মনে-প্রাণে। আমি তো ভুলতে পারব না কোনদিনই, তা আমি জানি। তবু চেষ্টা করব সব কিছু ভুলে যাওয়ার।
ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা, এ-জন্মে যেন তোমার সঙ্গে আর কখনও না দেখা হয়, শীতের দেশে খুব ভাল থেকো।
No comments:
Post a Comment