বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০
পূর্বরাগ | কবিতা
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
ধানি রাগে বাঁশি
দু-লাইন লেখার আগেই কয়েকটা শব্দ ভেসে আসে
বিরক্তিতে তাদের ভাঙি-জুড়ি-শব্দবন্ধে বাঁধি
কোনো মুখ ভাসে না, পূর্বরাগের গন্ধহীন প্রবল উন্মাদ
ফেটে পড়ে টং পাহাড় আর ভারসাম্য আন্দোলন
স্মারকলিপিগুলো দুপুরঝড়ে শালপাতা হয়ে গ্যাছে
তালগাছ হয়েছে তুচ্ছ রোম অথচ লোমহীন তিলের
কল্পকাহিনির পাতা পোকায় খেয়েছে
বিরক্তিতে তাদের ভাঙি-জুড়ি-শব্দবন্ধে বাঁধি
কোনো মুখ ভাসে না, পূর্বরাগের গন্ধহীন প্রবল উন্মাদ
ফেটে পড়ে টং পাহাড় আর ভারসাম্য আন্দোলন
স্মারকলিপিগুলো দুপুরঝড়ে শালপাতা হয়ে গ্যাছে
তালগাছ হয়েছে তুচ্ছ রোম অথচ লোমহীন তিলের
কল্পকাহিনির পাতা পোকায় খেয়েছে
ওরা বলল ফুলের কথা, গানের কথা, তালের কথা,
তিলের কথাও; টোল বোল শ্বদন্ত কিছুই সেই 'প্রেম'
নামে ব্রজভূমের হাওয়া আনতে পারেনি
তিলের কথাও; টোল বোল শ্বদন্ত কিছুই সেই 'প্রেম'
নামে ব্রজভূমের হাওয়া আনতে পারেনি
টর্নেডোয় ঘর ভেঙে পিঠে জলজ নুড়ির আক্রমণ
হাড়গুলো কাঁদে চোদ্দোসালের হুলহুলে দুপুর
ফিরিয়ে দেয় হারানো বাঁশি কাঁসাই ক্যানেলে লাগে
বিকেলের হাওয়া অমিত পূর্বরাগ উপচে ওঠে
চাঁপারং হলুদ বিকেলে, ধানি রাগে বাজে বাঁশি
ভেতরে কোথাও আগুন লাগে, তুষের আগুন
পাখি ডাকে এত হুল, বুনোফুলে এত জ্বালা
বুঝেছে কে?
রাগ, আগুন, হুল, জ্বালা সব নিয়ে জেগে থাকে
শ্রীরাধার চোখ, মাধবও কি নয়?
হাড়গুলো কাঁদে চোদ্দোসালের হুলহুলে দুপুর
ফিরিয়ে দেয় হারানো বাঁশি কাঁসাই ক্যানেলে লাগে
বিকেলের হাওয়া অমিত পূর্বরাগ উপচে ওঠে
চাঁপারং হলুদ বিকেলে, ধানি রাগে বাজে বাঁশি
ভেতরে কোথাও আগুন লাগে, তুষের আগুন
পাখি ডাকে এত হুল, বুনোফুলে এত জ্বালা
বুঝেছে কে?
রাগ, আগুন, হুল, জ্বালা সব নিয়ে জেগে থাকে
শ্রীরাধার চোখ, মাধবও কি নয়?
No comments:
Post a Comment