বাতায়ন/মাসিক/কবিতাগুচ্ছ/২য়
বর্ষ/২২তম সংখ্যা/২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
কবিতাগুচ্ছ
| মোহন রায়হান | অন্য পৃথিবী
মোহন
রায়হান
অন্য পৃথিবী
মনে করো, মধুপূর্ণিমা—
জাহাজের ডেক ভেসে যাচ্ছে ঝলমল জোছনায়
পাশাপাশি কুয়াকাটা যাত্রী
অপার্থিব চেয়ে থাকে
চেনে না কেউ
কাউকে
যতদূর নীলজল আর রুপালি জোছনার খেলা
নীলফ্রক কিশোরী ও ইলিশ ঝাঁকের ছুটোছুটি!
মনে করো, মধুপূর্ণিমা—
বাতাসে উড়ছে
শাড়ির আঁচল
উড়ে যেতে চাইছে কোথাও
ফুল্ল প্রজাপতির মতো নাচছে
কপালে কুঞ্চিত কেশ
যেন চাঁদমুখ থেকে ঝরছে
অলীক মঞ্জিমা জোছনার
মনে করো, মধুপূর্ণিমা—
ষোড়শ শতকের
মাতাল রাজা
সারারাত গ্লাসে গ্লাসে পান করে
প্রকৃতি ও মানবীর অতুলনীয় সুধা
আর চায় না কিছু— না রাজ্য না ধন
এমন
অবচেতনায় ডুবে যেতে যেতে
ঠোঁট ফসকে বেরিয়ে গেল—
কী অপূর্ব!
কী অদ্ভুত! কী সুন্দর!
আচমকা
মুগ্ধতার অতল গভীর থেকে
অত্যাশ্চর্য মৎস্যকন্যার মতো জেগে উঠে
স্মিতহাস্যে মুখ ফেরালো মোহন বিস্ময়ে
কাছে এসে বলো— আহ! এত সুন্দর!
সারারাত সেই
স্বপ্নের ভেতর ডুবতে ডুবতে
ভাসতে ভাসতে সেই অপরূপ জোছনার অবিমিশ্র রঙে
আমরা কি আঁকতে পারতাম একটি অনন্য সৃজনশীল
ভালবাসার পৃথিবী?
জাহাজের ডেক ভেসে যাচ্ছে ঝলমল জোছনায়
পাশাপাশি কুয়াকাটা যাত্রী
অপার্থিব চেয়ে থাকে
যতদূর নীলজল আর রুপালি জোছনার খেলা
নীলফ্রক কিশোরী ও ইলিশ ঝাঁকের ছুটোছুটি!
উড়ে যেতে চাইছে কোথাও
ফুল্ল প্রজাপতির মতো নাচছে
কপালে কুঞ্চিত কেশ
যেন চাঁদমুখ থেকে ঝরছে
অলীক মঞ্জিমা জোছনার
সারারাত গ্লাসে গ্লাসে পান করে
প্রকৃতি ও মানবীর অতুলনীয় সুধা
আর চায় না কিছু— না রাজ্য না ধন
ঠোঁট ফসকে বেরিয়ে গেল—
অত্যাশ্চর্য মৎস্যকন্যার মতো জেগে উঠে
স্মিতহাস্যে মুখ ফেরালো মোহন বিস্ময়ে
কাছে এসে বলো— আহ! এত সুন্দর!
ভাসতে ভাসতে সেই অপরূপ জোছনার অবিমিশ্র রঙে
আমরা কি আঁকতে পারতাম একটি অনন্য সৃজনশীল
ভালবাসার পৃথিবী?
ভালো লাগলো
ReplyDeleteপরাণ মাঝি