বাতায়ন/দহন/কবিতাগুচ্ছ/৩য়
বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতাগুচ্ছ | পূর্ণেন্দু পত্রী | সরোদ বাজাতে জানলে
পূর্ণেন্দু পত্রী
সরোদ
বাজাতে জানলে
কার্পেটে সাজানো প্রিয়
অন্তঃপুরে ঢুকে গেছে জল।
মুহুর্মুহু নৌকাডুবি, ভেসে যায় বিরুদ্ধ নোঙর। পৃথিবীর যাবতীয় প্রেমিকের সপ্তডিঙা ডুবেছে যেখানে
সেখানে নারীর মতো পদ্ম ফুটে থাকে।
জল হাসে, জল তার চুড়িপরা হাতে,
নর্তকীর মতো নেচে ঘুরে ঘুরে
ঘাগরার ছোবলে
সব কিছু কেড়ে নেয়, কেড়ে নিয়ে ফের ভরে দেয় বাসি হয়ে যাওয়া বুকে পদ্মগন্ধ, প্রকাশ্য উদ্যান।
এই অপরূপ ধ্বংস, মরচে- পড়া ঘরে দোরে চাপা এই চুনকাম দরবারী কানাড়া এরই নাম?
সরোদ বাজাতে জানলে বড় ভালো
হতো।
পুরুষ কীভাবে বাঁচে সেই শুধু জানে।
[সংগৃহীত; সৌজন্যে— জয়িতা বসাক]
দহন | কবিতাগুচ্ছ | পূর্ণেন্দু পত্রী | সরোদ বাজাতে জানলে
পূর্ণেন্দু পত্রী
আমার এমন কিছু দুঃখ আছে যার
নাম তিলক কামোদ
এমন কিছু স্মৃতি যা
সিন্ধুভৈরবী
জয়জয়ন্তীর মতো বহু ক্ষত রয়ে
গেছে ভিতর দেয়ালে
কিছু কিছু অভিমান
ইমনকল্যাণ।
সরোদ বাজাতে জানলে বড় ভালো
হতো।
পুরুষ কিভাবে কাঁদে সেই শুধু
জানে।
মুহুর্মুহু নৌকাডুবি, ভেসে যায় বিরুদ্ধ নোঙর। পৃথিবীর যাবতীয় প্রেমিকের সপ্তডিঙা ডুবেছে যেখানে
সেখানে নারীর মতো পদ্ম ফুটে থাকে।
জল হাসে, জল তার চুড়িপরা হাতে,
সব কিছু কেড়ে নেয়, কেড়ে নিয়ে ফের ভরে দেয় বাসি হয়ে যাওয়া বুকে পদ্মগন্ধ, প্রকাশ্য উদ্যান।
এই অপরূপ ধ্বংস, মরচে- পড়া ঘরে দোরে চাপা এই চুনকাম দরবারী কানাড়া এরই নাম?
পুরুষ কীভাবে বাঁচে সেই শুধু জানে।
No comments:
Post a Comment