বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
মলয় সি চন্দ্র
মৃতেরা
কথা বলে না
নদীর কূলে যখন সন্ধ্যা এঁকে
যায়
আধোজোৎস্না নামে প্রায়ান্ধকার
বকুলগাছের মাথায়
ছায়া ছায়া অবয়ব চারপাশে।
একা বসে ভাবি নিঃশব্দ ছায়াবৃত্তে
আমি পারতাম অনেককিছুই।
পারতাম শব্দের অনুরণন তুলতে
পারতাম কথার ওপর কথা বসিয়ে
শব্দের মিসাইল ছুঁড়তে
পারতাম একটা জাতিকে নতুন করে
ভাবাতে।
কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ক্ষয়ে যাচ্ছি
দ্রুত অপসারণের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
তোমার সাথে দেখা হলে আজ
জিজ্ঞেস করতাম
আমার এই পরিণতির জন্য দায়ী কে!
জানি তুমি ধূসর স্থির চোখে তাকিয়ে
থাকবে দূরের... অনেক দূরের দিকে
নিস্পলক।
ভেতরে ভেতরে দহন ঘটে নিরন্তর। কারণ
আমি জানি... মৃতেরা কথা বলে না।
দহন | কবিতা
মলয় সি চন্দ্র
কিছু শব্দ অবাঞ্ছিত ভিড় করে
কিছু শব্দ তৈরি করে
হাহাকার
অনবরত ভেঙে যেতে যেতে নুয়ে
পড়ি
রুদ্ধসংগীত শুরু হয়, গোধূলির
শেষে আলো-আঁধারির ঘেরাটোপে।
আধোজোৎস্না নামে প্রায়ান্ধকার
বকুলগাছের মাথায়
ছায়া ছায়া অবয়ব চারপাশে।
একা বসে ভাবি নিঃশব্দ ছায়াবৃত্তে
আমি পারতাম অনেককিছুই।
পারতাম কথার ওপর কথা বসিয়ে
শব্দের মিসাইল ছুঁড়তে
পারতাম একটা জাতিকে নতুন করে
ভাবাতে।
কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ক্ষয়ে যাচ্ছি
দ্রুত অপসারণের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
জিজ্ঞেস করতাম
আমার এই পরিণতির জন্য দায়ী কে!
জানি তুমি ধূসর স্থির চোখে তাকিয়ে
থাকবে দূরের... অনেক দূরের দিকে
নিস্পলক।
ভেতরে ভেতরে দহন ঘটে নিরন্তর। কারণ
আমি জানি... মৃতেরা কথা বলে না।
No comments:
Post a Comment