বাতায়ন/দহন/শিল্প-সংস্কৃতি/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | শিল্প-সংস্কৃতি
পারমিতা
চ্যাটার্জি
রবীন্দ্র-আলেখ্য
"কখন যেন তুমি এসেছ আমার অজান্তে আমারই ভবনে। তাইতো মনে আমার রং লেগেছে, সুর জেগেছে, দুঃখসুখের বেদনা আমার মিলেমিশে গেছে কাব্য ও সুরের অঙ্গনে।"
কবি তোমার সাথেই হেঁটে চলেছি এই দীর্ঘ পথ। আমার সব পথের ঠিকানাই তো তোমার জানা কবি! যেখনেই যাই গান ভেসে আসে তোমার। তোমার গান-কাব্যের মধ্য দিয়ে জীবনদর্শন জীবনবোধ তুমি দিয়ে গেছ তা এখনও সম্বল জীবনের প্রত্যেকটি বাঁকে বাঁকে অলিতেগলিতে খুঁজে পাই। তাইতো কবি, 'আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ’।
পথে চলে যেতে যেতে কখন কোথায়
তোমার পরশ এসে পথ চিনিয়ে ঠিক নিয়ে যায় নিত্যনতুন ঠিকানায়। যতই চলেছি ততই চিনেছি
তোমাকে নিত্যনতুন আঙিনাতে। কিন্তু এই জানা তো আমার শেষ হবে না। জীবনের পথ চলতে
গিয়ে তোমার হাত ধরেছি তোমার কাব্যের ডিঙিতে ঘুরেছি ঘাটে ঘাটে, ভুবনের প্রাণের হাটে,
তোমার
কাছে দেনা আমার বেড়েই যাবে, ফুরাবে না কোনদিন।
কখন যেন তুমি এসেছ আমার অজান্তে আমারই ভবনে। তাইতো মনে আমার রং লেগেছে, সুর জেগেছে, দুঃখসুখের বেদনা আমার
মিলেমিশে গেছে কাব্য ও সুরের অঙ্গনে।
তোমার জন্মদিনের ডালা সাজাবো
তোমারই গান ও কাব্যের ভাণ্ডার দিয়ে যা আপামর বাঙালির এক মহান ঐশ্বর্য।
বাংলার কাব্যের ভাণ্ডারকে
পৌঁছে দিয়েছ বিশ্বের দরবারে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মেলবন্ধন ঘটিয়েছ বিশ্বভারতী
প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এখনও শান্তিনিকেতনের পথে পথে লাল পলাশ শিমুলের আড়াল
দিয়ে যখন পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায়,
মন
গুণগুণ করে ওঠে সুরের গুঞ্জরণে - 'চাঁদের হাসির বাঁধ
ভেঙেছে'।
রাঙামাটির পথ, কোপাই নদীর পাথরের খাঁজে খাঁজে বয়ে যাওয়া, বাউলের একতারায় সুর,
"আমি
কোথায় পাবো তারে / আমার মনের মানুষ যে রে'
সর্বত্রই
তোমার সুধামাখা স্পর্শ যেন উন্মোচিত হয়ে উঠেছে।
শান্তিনিকেতনের অনেক বদল
এসেছে, কিন্ত তবুও মুছে যায়নি সেই
গানের সুর, 'গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ, আমার মন ভুলায় রে’।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment