বাতায়ন/শারদ/কবিতাগুচ্ছ/৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন, ১৪৩২
শারদ | কবিতাগুচ্ছ | শামসুর রাহমান | একটি কবিতার জন্য
শামসুর রাহমান
বৃক্ষের নিকটে গিয়ে বলি;
দয়াবান বৃক্ষ তুমি একটি কবিতা
দিতে পারো?
বৃক্ষ বলে আমার বাকল ফুঁড়ে
আমার মজ্জায়
যদি মিশে যেতে পারো, তবে
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা!
জীর্ণ দেয়ালের কানে বলি;
দেয়াল আমাকে তুমি একটি কবিতা
দিতে পারো?
পুরোনো দেয়াল বলে
শ্যাওলা-ঢাকা স্বরে,
এই ইঁট সুরকির ভেতর যদি
নিজেকে গুঁড়িয়ে দাও, তবে
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা!
একজন বৃদ্ধের নিকট গিয়ে বলি, নতজানু,
হে প্রাচীন দয়া ক’রে দেবেন কি
একটি কবিতা?
স্তব্ধতার পর্দা ছিঁড়ে বেজে
ওঠে প্রাজ্ঞ কণ্ঠে – যদি
আমার মুখের রেখাবলী
তুলে নিতে পারো
নিজের মুখাবয়বে, তবে
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা।
কেবল কয়েক ছত্র কবিতার জন্যে
এই বৃক্ষ, জরাজীর্ণ দেয়াল এবং
বৃদ্ধের সম্মুখে নতজানু আমি থাকবো কতোকাল?
বলো কতোকাল?
শারদ | কবিতাগুচ্ছ | শামসুর রাহমান | একটি কবিতার জন্য
শামসুর রাহমান
একটি কবিতার জন্য
যদি মিশে যেতে পারো, তবে
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা!
জীর্ণ দেয়ালের কানে বলি;
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা!
একজন বৃদ্ধের নিকট গিয়ে বলি, নতজানু,
আমার মুখের রেখাবলী
তুলে নিতে পারো
নিজের মুখাবয়বে, তবে
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা।
কেবল কয়েক ছত্র কবিতার জন্যে
এই বৃক্ষ, জরাজীর্ণ দেয়াল এবং
বৃদ্ধের সম্মুখে নতজানু আমি থাকবো কতোকাল?
No comments:
Post a Comment