বাতায়ন/শারদ/কবিতা/৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন, ১৪৩২
শারদ | কবিতা
তুহিনা সুলতানা
অন্তরালের
আলো
নিভৃতে কাঁপে বাতাস, দেয়ালে ওঠে ছায়া,
একেকটা ছায়া যেন অতীতের মুখ
যা ডাকত কখনো নাম ধরে,
এখন কেবল মৌনতায় রেখেছে
দূরত্বের প্রহর।
একটানা ছুটে চলে যন্ত্রণা—
জানা অজানার মাঝখানে দাঁড়িয়ে
আমি গুণে রাখি একান্ত নিজস্ব ক্ষত,
যা দেখে না কেউ, বোঝেও না কেউ।
হঠাৎ কিছু আলো আসে—
ভোরের আগে ভেসে ওঠা নিঃশব্দ নীলতা,
নির্বাক হলেও ওর স্পর্শে
চোখের কোণে জেগে ওঠে আশ্চর্য এক শান্তি।
আমি জানি, সব পথের নেই ঠিকানা
কিছু যাত্রা হয় শুধুই নিজের সঙ্গে,
তবু সেই ভেতরের ছোট্ট আলো
জ্বালিয়ে রাখে অন্তহীন প্রত্যাশা।
যেখানে কেউ নেই, কিছু নেই—
সেখানে নিজেকেই গড়ি চুপিচুপি,
কষ্টকে সেলাই করি সাহসের
সুতোয়,
ভালবাসা খুঁজি না, শুধুই মানে খুঁজি থাকার।
কারণ, জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে
আমরা সবাই খুঁজি একটুখানি আলো—
যা ভাঙে না, জ্বলে যায় না,
শুধু বলে — "তুমি একা নও, আমি আছি, অন্তরালে।"
শারদ | কবিতা
তুহিনা সুলতানা
নিভে আসা সন্ধ্যাবেলায়, জানলার ধারে বসি—
চুপিচুপি ভাঙে সময়, পায়ের নিচে কাচভাঙা সুর,
রয়ে যায় উষ্ণতা না-পাওয়া কোনো
হাতের উলটে রাখা দাগ।
যা ডাকত কখনো নাম ধরে,
জানা অজানার মাঝখানে দাঁড়িয়ে
আমি গুণে রাখি একান্ত নিজস্ব ক্ষত,
ভোরের আগে ভেসে ওঠা নিঃশব্দ নীলতা,
চোখের কোণে জেগে ওঠে আশ্চর্য এক শান্তি।
কিছু যাত্রা হয় শুধুই নিজের সঙ্গে,
জ্বালিয়ে রাখে অন্তহীন প্রত্যাশা।
সেখানে নিজেকেই গড়ি চুপিচুপি,
আমরা সবাই খুঁজি একটুখানি আলো—
যা ভাঙে না, জ্বলে যায় না,
ভালো লাগলো 🙏
ReplyDelete