প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা ~ ~ ~ নাম নয় মানই বিবেচ্য

শারদ | উৎসবের অঙ্গীকার

  বাতায়ন/শারদ/ সম্পাদকীয় /৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন , ১৪৩২ শারদ | সম্পাদকীয়   উৎসবের অঙ্গীকার "নারীতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে পুরুষতন্ত্...

Saturday, September 13, 2025

মউ [৬ষ্ঠ পর্ব] | অজয় দেবনাথ

বাতায়ন/ধারাবাহিক উপন্যাস/৩য় বর্ষ/২তম সংখ্যা/৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২
ধারাবাহিক উপন্যাস
অজয় দেবনাথ
 
মউ
[৬ষ্ঠ পর্ব]

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। Smoking is harmful to your health.
অ্যালকোহল সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অ্যালকোহল পান করে গাড়ি চালাবেন না। Alcohol consumption is harmful to your health, Do not drink and drive.

"মউকে দেখে তো অন্যরকম লাগছে যেমনটা লোকজনের মুখে শোনা যায় তেমনটা তো নয়। যথেষ্ট ভদ্র, বাধ্য। হ্যাঁ পোশাক-আশাক… সে যার যেমন রুচি, তাছাড়া কেউ যদি স্বাধীনচেতা হয়, আধুনিকা হয় তাতে কার কী বলার থাকতে পারে!"


পূর্বানুবৃত্তি চুমুতে যে এমন স্বর্গীয় অমৃত থাকতে পারে তা তার কল্পনার অতীত। দেবাশিসের কথা শুনে শুভ্রার সঙ্গে না এলে হয়তো স্বর্গের এ অমৃত অধরাই থেকে যেত তার জীবনে। দেবাশিসও শুভ্রাকে ভালবাসে, সংকোচে বলতে পারে না। তাছাড়া শুভ্রা দেবাশিসকে পাত্তা দেবে তবে তো! তারপর…

শুভ্রার যেন তর সইছে না আর। আজই চাই। আজই তার সবকিছু চাই। গলা জড়িয়ে থেকেই বলল,
-আজ তুমি আরও অনেক উপহার পাবে। উপহারে উপহারে ভরে উঠবে তোমার মণিকোঠা।

বলেই সুখকে ঠেলে খাটে বসিয়ে মুহূর্তে নিজের গেঞ্জি খুলে ফেলল। লাল ব্রায়ের ভিতর থেকে ফরসা বর্তুলাকার স্তনযুগল বিদ্রোহী ক্ষিপ্ত জনতার মতো, বাঁধভাঙা বন্যার মতো নিষেধের সব বাধা ভেঙে যেন বেরিয়ে আসতে চাইছে। স্তনবৃন্ত দুটি আঙুরের লম্বাটে দানার মতো তার দিকেই শুধু আকর্ষণ করছে। সুখ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়েই রইল যেন পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য দেখছে। শুভ্রা হয়তো ক্ষণিক লজ্জা পেল। আস্তে আস্তে সুখের মাথাটা ধরে নিজের স্তনযুগলের সন্ধিতে পরম সুখে সুখের মুখটা চেপে ধরল। সুখ তার দুটি হাত দিয়ে শুভ্রাকে নিবিষ্ট ভাবে আলিঙ্গন করল। তারপর শুভ্রার উন্মুক্ত পিঠে, কাঁধে, কোমরে, নিতম্বে আলতোভাবে খেলা করতে থাকল যেন সে সমস্ত মাপজোখ দেখে নিজে হাতে এক অপরূপ প্রতিমা গড়ছে।
 
কত সময় যে গেল এভাবে… তার অনন্য স্বপ্নের নারীকে সুখ বলল,
-তুমি অনন্যা। সত্যিই তুমি অনন্যা। তোমার সঙ্গে কারোর তুলনা হয় না। তোমার তুলনা শুধু তুমি। আজ তুমি আমাকে পরম স্বর্গের সন্ধান দিলে, এ আমার স্বপ্নের অতীত। এই স্বর্গ হারিয়ে যাবে না তো?
শুভ্রা সুখের বুকের পশমে চাঁপার কলির মতো নরম আঙুল দিয়ে বিলি কাটতে-কাটতে সুখের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,
-পাগল, হারিয়ে যাবে কেন! কিন্তু স্বর্গের যে এখনও অনেক বাকি।
সুখ দুহাতে শুভ্রার মুখ ধরে আদর করতে করতে বলল,
-মানে!
শুভ্রা স্কুলের দিদিমণির মতো উপদেশ দেওয়ার ভঙ্গিতে বলল,
-কোনও কথা না বলে এখন আমি যা বলব, যা করব বাধ্য ছেলের মতো একমনে দেখে যাও, আর তোমার সমস্ত সত্তা দিয়ে, উপলব্ধি দিয়ে অনুভব করো।
বলে সুখের বেষ্টন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে একটু সরে গিয়ে তার শর্ট্‌সটাও খুলে ফেলল। এখন সুখের সামনে শুধুই অন্তর্বাসে দাঁড়িয়ে, তার স্বর্গের রানি। এক-পা দু-পা করে সে আরও কাছে এল, ঘনিষ্ঠ হল সুখের গায়ে শ্বাস লাগা দূরত্বে। দুহাত বাড়িয়ে শুভ্রাকে কাছে টেনে নিজের মুখটা শুভ্রার বুকে ডুবিয়ে কোমরে, নিতম্বে হাত বোলাতে লাগল। শুভ্রা সোহাগে সুখের চুলে বিলি কেটে দিতে থাকল।
 
শুভ্রা হঠাৎ সুখকে দাঁড় করিয়ে জিপারটা খুলে দিল। সুখের পৌরুষদণ্ড দৃঢ় ভাবে দণ্ডায়মান। আচমকাই সরে গেল সুখ, যেন কিছু একটা বিপদ ঘটে গেছে, সুখ বলল,
-না না, এটা ঠিক নয়। এ অন্যায়!
-আর তোমার স্বর্গের বেলায়, সেটা বুঝি অন্যায় নয়?
সুখ আমতা-আমতা করতে লাগল। শুভ্রা এবার আবদারের সুরে বলল,
-আমাকে স্বর্গে নিয়ে যাবে না, স্বর্গের সুখ দেবে না আমাকে!
-আ-আমি সামলাতে পারব না, গণ্ডগোল হয়ে যাবে।
-কিচ্ছু গণ্ডগোল হবে না, আমি সব সামলে নেব।
-না… না শুভ্রা… বিয়ের আগে এসব ঠিক না।
হাত নেড়ে মাছি তাড়ানোর মতো তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে শুভ্রা বলল,
-ছাড়ো তোমার মিড্‌ল-ক্লাস মেন্টালিটি।
শুভ্রা আবারও সুখকে আহ্বান জানিয়ে বলল,
-জাস্ট বায়োলজিক্যাল সেক্স। জীবনের সব নিড্‌স-এর মতোই জরুরি।
কিন্তু ততক্ষণে সুখ রণে ভঙ্গ দিয়েছে।
 
সকালে নটা নাগাদ তখন বাংলার ক্লাস করাচ্ছিল। মউ এসে খোলা দরজায় নক করে আসবে কিনা জানতে চাইল। সুখ অনুমতিসূচক ঘাড় নেড়ে আসতে বলল,
-কিন্তু… এখন তো ক্লাস করাচ্ছি।
মউ বাধ্য মেয়ের মতো বলল,
-ঠিক আছে, তুমি ক্লাস করিয়ে নাও। আমি অপেক্ষা করছি।
সাড়ে-নটায় ক্লাস শেষ হলে সুখ মউকে অ্যাটেনশন দিয়ে জানতে চাইল,
-চা খাবি? অনেকক্ষণ বসতে হল তোকে।
মউ মাথা নেড়ে জানাল, না।
 
সুখ মউকে আর একটু বসতে বলে পাশের ঘরে চলে গেল। মনে মনে একটু আশ্চর্যই হল, মউকে দেখে তো অন্যরকম লাগছে যেমনটা লোকজনের মুখে শোনা যায় তেমনটা তো নয়। যথেষ্ট ভদ্র, বাধ্য। হ্যাঁ পোশাক-আশাক… সে যার যেমন রুচি, তাছাড়া কেউ যদি স্বাধীনচেতা হয়, আধুনিকা হয় তাতে কার কী বলার থাকতে পারে! আর স্বাধীনচেতা বা আধুনিকা হলেই যে সেই মেয়ে খারাপ হবে এমন তকমা লাগিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। লোকজনেরও বলিহারি, কাজ নেই কর্ম নেই কেবল পরনিন্দা-পরচর্চা। সে গ্রামেই বল আর শহরে, সব এক। আরে বাবা পরের চর্চা ছেড়ে নিজের নিজের কাজে ধ্যান দিলে তো নিজেদেরই উন্নতি হয়। কবে যে মানুষ নিজের ভাল বুঝতে শিখবে। অবশ্য তার ভুলও হতে পারে। কাউকে এক-ঝলক দেখেই কোনও সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়, কম তো দেখল না জীবনে! তার অবশ্য এতকিছু জেনে দরকার নেই, শুধু মউ যে-কাজে এসেছে সে-টুকু মিটলেই হল। এই বয়সে আর ফালতু ঝামেলায় জড়াতে মন চায় না, তাছাড়া তার নিজের অনেক কাজ আছে। সে কাজ লোকের চোখে কাজের-কাজ বলে মনে না হতেই পারে তাতে সে পরোয়া করে না।
 
ঘরে এসে মউয়ের কাছে অ্যাপোলজি চেয়ে বলল,
-সকালসকাল তোকে খুব বোর হতে হল, জরুরি কাজ নেই তো কিছু?
-হাতে সময় নিয়েই এসেছি, তুমিই তো বলেছিলে!
-কী করছিস এখন?
-একটা মিশনারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বাচ্চাদের পড়াই আর…
মউকে থামিয়ে দিয়ে সুখ বিস্ময়ের সুরে বলল,
-তুই মিশনারি স্কুলে পড়াস! হঠাৎ চাকরি, এত তাড়াতাড়ি… আর পড়াশোনা!
-আমি কারোর ওপর ডিপেন্ড করতে চাই না। তাছাড়া যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় হাতে তত বেশি অপশন থাকে। পাশাপাশি ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে ফিলজফি অনার্স নিয়ে সেকেন্ড-ইয়ার…
 
ক্রমশ

No comments:

Post a Comment

'ও মন তরে কে-বা পার করে...'


Popular Top 9 (Last 30 days)