বাতায়ন/ধারাবাহিক
উপন্যাস/৩য় বর্ষ/২৬তম সংখ্যা/২৪শে আশ্বিন,
১৪৩২
ধারাবাহিক উপন্যাস
অজয় দেবনাথ
মউ
[৫ম পর্ব]
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। Smoking is harmful to your health.
অ্যালকোহল সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অ্যালকোহল পান করে গাড়ি চালাবেন না। Alcohol consumption is harmful to your health, Do not drink and drive.
অ্যালকোহল সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অ্যালকোহল পান করে গাড়ি চালাবেন না। Alcohol consumption is harmful to your health, Do not drink and drive.
"পাগলের মতো চুমু খাবার সময় শুভ্রার ঘাড়ে, গলায়, বুকে দীর্ঘ চুমুর দাগ পড়ে গেল, রক্তফোঁটার মতো। ড্রেসিংটেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়াল শুভ্রা। সে আরও পেতে চাইছে, তার শরীরে যেন সাতজন্মের খিদে। সুখকে কাছে আসতে বলল ইশারায়।"
পূর্বানুবৃত্তি পরেরদিন নটা নাগাদ এসে ডাকল
মান্তাদি। পুকুরে গিয়ে মান্তাদি ওপর থেকেই জলে ঝাঁপ দিয়ে খানিকটা সাঁতার কেটে নিল।
সুখকেও জলে নামতে বলল। সুখ মন্ত্রমুগ্ধের মতো মান্তাদির দুহাত ধরে সাঁতার কাটার
চেষ্টা করতে লাগল। এদিকে শুভ্রা বলল ভ্রমর মধু খাবে আর ফুলের পরাগমিলন হবে। তারপর…
বলতে বলতে সুখের বুকে পাগলের মতো মুখ ঘষতে লাগল। সুখ তাতেও সাড়া দিচ্ছে না, আড়ষ্টই হয়ে আছে দেখে এক ঝটকায় খাটে ফেলে দিয়ে দুহাতে তার মুখটা ধরে ঠোঁটদুটো নিজের ঠোঁটের মধ্যে নিয়ে গভীরভাবে চুমু খেতে লাগল।
এবারে আর নিজেকে বেঁধে রাখতে পারল না সুখ। ভেসে গেল শুভ্রার চুমুর জোয়ারে।
হাঁকপাঁক করতে লাগল, হাঁপিয়ে উঠল। তার জিভ সম্পূর্ণ শুভ্রার দখলে, যেন শরীরের
ভিতরের সব রস শুষে নিতে চায়। একটু ধাতস্থ হয়ে ধীরে শুভ্রারও দখল নিল সে। আনাড়ির
মতো শুভ্রাকে এখানে-ওখানে যেখানে পারল পাগলের মতো চুমু খেতে লাগল তীব্র আশ্লেষে।
সুখের সুখে মরে যেতে ইচ্ছে হল।
শুভ্রাকে বলল,
-আজ আমার জীবনের সেরা উপহার দিলে
তুমি, আজকের দিনটা আমার কাছে দুর্মূল্য রত্নের মতো, কোহিনুর হীরের মতো, চিরকাল
মনের মণিবেদিকায় অমর হয়ে থাকবে।
আরও নিবিড় করে পেতে চাইল
শুভ্রাকে। ততক্ষণে তার পৌরুষদণ্ড সুতীব্র বাসনায় শাসনের আকাঙ্ক্ষায় অধীর। নিজের ওই
অবস্থা দেখে লজ্জা পেল সুখ। দ্রুত শালীনতার মোড়কে ঢুকিয়ে নিল নিজেকে।
সেই প্রথম সুখের কোনও মেয়েকে চুমু
খাওয়া। চুমুতে যে এমন স্বর্গীয় অমৃত থাকতে পারে তা তার কল্পনার অতীত। নাকি শুভ্রাই
অনন্যা। যাইহোক, শুভ্রাকে তার অনন্যই মনে হল। দেবাশিসের কথা শুনে শুভ্রার সঙ্গে না
এলে হয়তো স্বর্গের এ অমৃত অধরাই থেকে যেত তার জীবনে।
৭
দেবাশিস তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং
রুম-মেট হবার সুবাদে সবই জানত। তার বাড়ির কথা, তাদের সংসারের কথা, মায়ের কথা। সুখ
সব কথাই শেয়ার করত দেবাশিসের সঙ্গে। দেবাশিস বারবার বারণ করেছিল সে যেন বড়লোকের
সুন্দরী মেয়ের পাল্লায় না পড়ে। সুখ সেই অনুযায়ীই চলার চেষ্টা করেছিল কিন্তু
শেষপর্যন্ত পারেনি। শুভ্রার মতো পরমা সুন্দরী মেয়েকে ভাল না বেসে পারা যায়! যে
কোনও পুরুষের স্বপ্নের কামনার ধন। কেমন পুতুল-পুতুল গড়ন, নরম-নরম স্বভাব। হ্যাঁ
একটু নাকউঁচু, সবার সঙ্গে কথা বলে না কিন্তু সেটা নিজের সেফটির জন্যেও হতে পারে।
ওর সঙ্গে না মিশলে বোঝা যাবে না ও কতটা ভাল। বাইরে থেকে দেখলে একটু দেমাকি,
অহংকারী বলেই মনে হয় তবে সুন্দরী, রূপসি মেয়েদের যদি দেমাক না থাকে, অহংকার না
থাকে তো থাকবে কার! প্রতিটি মানুষেরই অহংকার আছে। সেই অর্থে দেখতে গেলে সম্পূর্ণ
নিরহংকারী মানুষ কিতাবেই পাওয়া যায়। নিজেকে প্রবোধ দেয় সুখ।
আসলে নিশ্চয়ই মনে মনে দেবাশিসও
শুভ্রাকে ভালবাসে, সংকোচে বলতে পারে না। তাছাড়া শুভ্রা দেবাশিসকে পাত্তা দেবে তবে
তো! ওর সঙ্গে তো কথাই বলে না। আশ্চর্য! বন্ধু হয়ে বন্ধুর ভাল দেখতে পারে না! মানুষ
এমনই হয়। কেউ কারোর ভাল দেখতে পারে না। সে নিজে হলেও হয়তো এমনই করত।
তবুও সে শুভ্রাকে এড়িয়ে যেত তার
অন্য কারণ আছে, তার যা সামগ্রিক পরিস্থিতি তাতে শুভ্রার সম্বন্ধে কিছু ভাবতে গেলেই
সে সংকুচিত হয়ে পড়ত। কেবলই মনে হত সে বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়াতে চাইছে। নেহাত
স্কলারশিপের টাকায় পড়াশোনা চালাতে পারছে, অন্যথায় কী যে হত, ভাবলেই মনে মনে শিউরে
উঠতে হয়। কিন্তু দেবাশিসের ব্যাপারটা স্বতন্ত্র। ওর বাড়ির অবস্থা ভাল, বীরভূমের
আহমদপুরে বাড়িতে বাবা-মা-ভাই-বোন নিয়ে সুখের সংসার। ওর বাবার রাইসমিল, আইসক্রিমের
ফ্যাক্টরি, তার সঙ্গে দেবাশিসের কোনও তুলনাই হয় না।
শুভ্রার দুর্নিবার আকর্ষণ উপেক্ষা
করা তার পক্ষে অসম্ভব। তার ওপর শুভ্রা নিজে তাকে চাইছে। স্বর্গের অপ্সরারা চাইলে
দেবতাদেরও ধ্যান ভাঙিয়ে দেন, সে তো কোন ছাড়। সে শুভ্রাকে ছাড়া কিছু আর ভাবতেই
পারছে না, এরই নাম প্রেম। যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জীবনে প্রেমই পরম
পাওয়া, প্রেমেই মুক্তি। সে নিশ্চয়ই খুব ভাগ্যবান নইলে শুভ্রা তাকে এভাবে চাইত না।
এ নিশ্চয়ই মা-বাবার আশীর্বাদ। শুভ্রাও তাকে ছাড়া কেমন যেন আনচান আনচান, পাগল পাগল
করে। সে হঠাৎ কোনদিন কলেজে না এলে শুভ্রাও ক্লাস করে না, বাড়ি চলে যায়। আর আগে
থেকে যদি তার না আসার খবর পায় তবে তো কথাই নেই।
দেবাশিসের মনোভাবে মনে মনে খুবই
আঘাত পায় সুখ। এটা কখনই আশা করেনি দেবাশিসের কাছে। ওভাবে আর সে দেবাশিসের সঙ্গে
মিশবে না। একই কলেজে, একই ঘরে থাকতে গেলে যেটুকু সেটুকুই, তার বেশি মোটেই নয়। সে
সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় এবার থেকে তেলে-জলে সম্পর্কই রাখবে। থাক সে তার কুচুটে মন
নিয়ে।
৮
পাগলের মতো চুমু খাবার সময়
শুভ্রার ঘাড়ে, গলায়, বুকে দীর্ঘ চুমুর দাগ পড়ে গেল, রক্তফোঁটার মতো।
ড্রেসিংটেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়াল শুভ্রা। সে আরও পেতে চাইছে, তার শরীরে যেন
সাতজন্মের খিদে। সুখকে কাছে আসতে বলল ইশারায়। সুখ গিয়ে শুভ্রার পিছনে দাঁড়াল।
লাভ-বাইটগুলো দেখিয়ে শুভ্রা জানতে চাইল,
-এগুলো কী হয়েছে! প্রথমবার?
পিছন থেকে শুভ্রার কোমর জড়িয়ে
ঘাড়ের কাছে মুখ গুঁজে ওর চুলের ঘ্রাণে হারিয়ে যেতে যেতে সুখ বলল, “হুঁ…” চকিতে
ঘুরে দাঁড়িয়ে সুখের গলা জড়িয়ে ধরল শুভ্রা। তার বর্তুলাকার স্তনযুগল সুখের বুকে
লেপ্টে আছে। তার কোমর সুখের কোমরের সঙ্গে নিবিড় করে ধরে যেন বলতে চাইছে— এই-ই আমার
শ্রীভূমি তোমাকে দিলাম, তোমার পৌরুষদণ্ডে ফাল ফাল করে দাও।
ক্রমশ
No comments:
Post a Comment