প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা ~ ~ ~ নাম নয় মানই বিবেচ্য

শারদ | উৎসবের অঙ্গীকার

  বাতায়ন/শারদ/ সম্পাদকীয় /৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন , ১৪৩২ শারদ | সম্পাদকীয়   উৎসবের অঙ্গীকার "নারীতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে পুরুষতন্ত্...

Saturday, September 13, 2025

মউ [৪র্থ পর্ব] | অজয় দেবনাথ

বাতায়ন/ধারাবাহিক উপন্যাস/৩য় বর্ষ/২তম সংখ্যা/১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২
ধারাবাহিক উপন্যাস
অজয় দেবনাথ
 
মউ
[৪র্থ পর্ব]

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। Smoking is harmful to your health.
অ্যালকোহল সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অ্যালকোহল পান করে গাড়ি চালাবেন না। Alcohol consumption is harmful to your health, Do not drink and drive.

"ডুবে গেলেই মান্তাদি যখন তাকে জড়িয়ে ধরছিল তার সারা শরীর কেমন যেন শিরশির করছিল। হঠাৎ মান্তাদি দুহাতের নীচ দিয়ে তাকে জাপটে ধরে তার ঠোঁট কামড়ে দিল, অমনি সুখ ভয় পেয়ে তার হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ঘাট থেকে উঠে বাড়ি চলে গেল।"


পূর্বানুবৃত্তি কলেজের সেরা সুন্দরী শুভ্রার আহ্বান অনেক চেষ্টা করেও এড়িয়ে যেতে পারেনি সুখ। ফাঁকা বাড়িতে স্টাডিরুম পার করে শুভ্রা সরাসরি বসিয়েছিল বেডরুমে। শুভ্রাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল, এমনিতেই শুভ্রা সুন্দরী। তারপর…

সেদিন বিকেলে খেলতে ভাল লাগছিল না সুখের। রক্ষাকালী-তলার বড় মাঠের পশ্চিমে কায়েতপাড়া পার করে বাঙরের যে খালটা গেছে, তার পাশে গিয়ে বসে রইল। সেখান থেকে সুর্যাস্ত দেখা যায়। সূর্য যেন অস্ত যাবার আগে সবাইকে রক্তিম আভায় রাঙিয়ে দিয়ে বলে যায় ভাল থেকো, সকালে আবার দেখা হবে পুবের মাঠে। সবাই মানে সে, নানান পশুপাখি, গাছপালা সব। পাখিরা তো বড্ড ব্যস্ত, সূর্য ওঠার আগে থেকেই কিচিরমিচির কিচিরমিচির করে ডাকাডাকি শুরু করে দেয়। সেখানেই বসে থাকতে ভাল লাগছিল, অন্য কিছুই ভাল লাগছিল না আর। সন্ধ্যায় পড়তে বসেও পড়ায় মন দিতে পারছিল না। মনের মধ্যে কেমন একটা ছটপটানি, কেমন যেন আনচান আনচান করছিল। যেন কী একটা হয়েছে তার।

 
পরেরদিন নটা নাগাদ এসে ডাকল মান্তাদি, কিন্তু একটু বেশিই সকালসকাল এল যেন। ঘোষালদের পুকুরে এই সময় সাধারণত কেউ যায় না, ফলে পুকুরঘাট ফাঁকাই থাকে। পুকুরে গিয়ে মান্তাদি ওপর থেকেই জলে ঝাঁপ দিয়ে খানিকটা সাঁতার কেটে নিল। সুখকেও জলে নামতে বলল। সুখ হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে মান্তাদিকে দেখছিল। মান্তাদির বুক থেকে শাড়ির আঁচল সরে গিয়ে গায়ে লেপটে আছে। জলে ভেজা রুবিয়া-ভয়েলের পাতলা সাদা রংয়ের ব্লাউজের ভিতর থেকে ফরসা স্তন, স্তনের মাঝ বরাবর কালচে-লাল রং-এর স্তনবৃন্ত পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, চান করতে এসেছে বলেই বোধহয় ভিতরে ব্রা পরেনি। সম্মোহিতের মতো সুখ তাকিয়েই ছিল। চোখ বড়-বড় করে মান্তাদি জিজ্ঞাসা করল, “কী রে, কী দেখছিস?” বলেই খুব হাসতে লাগল আর দুহাত দিয়ে জল ছিটিয়ে সুখকে ভিজিয়ে দিল। মান্তাদির স্তন দেখার কথা মান্তাদি দেখে ফেলেছে জেনে সুখ লজ্জা পেল।
 
মান্তাদি সুখকে ডাকল একসঙ্গে তার দুহাত ধরে সাঁতার কাটার জন্য। তার কথা ফেলতে পারছিল না সুখ। সুখ আর একটু জলে নেমে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল,
-দুজনে দুজনেরই হাত ধরলে সাঁতার কাটব কী করে?
-পা দিয়ে কাটবি, আমি শিখিয়ে দেব।
-যদি ডুবে যাই!
-ডুববি কেন! ঘাটের কাছাকাছি সাঁতার কাটতে হবে তাছাড়া আমি তো আছি, ঠিক ধরে নেব।
 
সুখ মন্ত্রমুগ্ধের মতো মান্তাদির দুহাত ধরে সাঁতার কাটার চেষ্টা করতে লাগল। যতই সাঁতার কাটতে যায় ততই ডুবে যায় আর মান্তাদি দুহাত দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে, তার ফরসা মুখে কমলালেবুর কোয়ার মতো লাল লাল ঠোঁটের ভিতর সাদা মুক্তোর মতো ঝকঝকে দাঁত বের করে খুব হাসে। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ গেল, সুখের বেশ ভালই লাগছিল, কিন্তু কেন তা সে জানে না। মান্তাদির নরম নরম হাত, নরম শরীর, তার থেকেও নরম যেন তুলোর মতো স্তনযুগল। ডুবে গেলেই মান্তাদি যখন তাকে জড়িয়ে ধরছিল তার সারা শরীর কেমন যেন শিরশির করছিল। হঠাৎ মান্তাদি দুহাতের নীচ দিয়ে তাকে জাপটে ধরে তার ঠোঁট কামড়ে দিল, অমনি সুখ ভয় পেয়ে তার হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ঘাট থেকে উঠে বাড়ি চলে গেল।
 
সেদিন কেমন একটা জেদ চেপে গিয়েছিল শুভ্রার। কামার্ত চোখে সুখকে বলল,
-আমাকে বেডরুমে একলা পেয়ে লোভ হচ্ছে না তোমার?
-কীসের লোভ!
শুভ্রা পরিবেশটা আরও কমনীয় করার জন্য বলল,
-ধরো বসন্ত এসে গেছে। গাছে গাছে ফুলে ফুলে ভরে গেছে, বসন্তে যেমন হয়। ভ্রমর গুনগুন করে উড়ে বেড়াচ্ছে ফুলের মধু খাবার জন্য। ফুলগুলোও মুখিয়ে আছে তাদের হৃদয়ের মধুভাণ্ডারের সুধা খাওয়াবে বলে। ভ্রমর মধু খাবে আর ফুলের পরাগমিলন হবে। অথবা ধরো বসন্তে কোকিল ডাকছে, কাতর কণ্ঠে ডেকেই চলেছে তবু সঙ্গিনীর দেখা পাচ্ছে না। কখন মেয়ে কোকিল এসে তার ডাকে সাড়া দেবে সেইজন্য পুরুষ কোকিল ক্লান্তিহীনভাবে ডেকে-ডেকে অপেক্ষা করছে। কিংবা ধরা যাক নির্জন দুপুরে গ্রামের পুকুরে চকাচকি প্রেম প্রেম খেলা খেলছে বা নির্জন ছাদে পায়রা-জুটি বকবকম বকবকম করে একে অন্যকে চুমু খেতে খেতে আদর করছে।
সুখ যেন কিছুই বুঝতে পারেনি এমন করে বলল,
-সে তো হতেই পারে, এমনই তো হয়। প্রকৃতির নিয়মে এটাই যুগযুগান্ত ধরে চলে আসছে, তাতে নতুন কী হল!
শুভ্রা দেখল সুখ যেন পণ করেছে যত কিছুই হোক সে কিছু বুঝবেই না। শুভ্রা জিজ্ঞেস করল,
-তুমি কী কিছুই বুঝতে পারছ না!
মরিয়া হয়ে বলল,
-এসো এসো এদিকে এসো, পায়রাগুলোকে দেখো।
সুখ বিস্মিত হয়ে জানতে চাইল,
-কোথায় যাব!
-এখানে আমার কাছে, খাটের পাশের এই জানালা দিয়ে দেখো, পিছনের বাগানে পায়রাগুলো কেমন জুটি বেঁধে প্রেম করছে, যেন একে অন্যকে ছাড়া বাঁচবে না।
 
ক্রমশ

No comments:

Post a Comment

'ও মন তরে কে-বা পার করে...'


Popular Top 9 (Last 30 days)